ময়মনসিংহ , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা: চল্লিশা করলো পরিবার লাখ টাকা ধার করে

রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে ‘ঋণের দায়ে ও খাওয়ার অভাবে’ স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩৫)। এদিকে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মৃতদের জন্য লাখ টাকা ধার করে চল্লিশা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন মিনারুলের বাবা রুস্তম আলী। এই চল্লিশার আয়োজন করে এক হাজার ২০০ মানুষকে খাইয়েছেন তিনি। 

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট স্ত্রী মনিরা খাতুন (৩০), ছেলে মাহিম (১৪) ও মেয়ে মিথিলাকে (৩) হত্যা করার পর আত্মহত্যা করেন মিনারুল। মৃত্যুর আগে তিনি চিরকুটে লিখে গিয়েছেন- আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।

রুস্তম আলী বলেন, এ অনুষ্ঠানকে কেউ চল্লিশা বলে, কেউ বলে ফয়তা। সমাজের মানুষকে নিয়ে এটা করতে হয়। বাপ-দাদার আমল থেকেই দেখে আসছি। আমিও মনের আবেগে করলাম। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী করে। আমি গরিব মানুষ, মাংস করতে পারিনি। মাছ দিয়ে মুড়িঘণ্ট আর ডাল করেছি।

টাকা জোগাড় হলো কিভাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুস্তম আলী বলেন, সবই ধার-দেনা। আমার তো জমানো টাকা নাই। শোধ করবেন কিভাবে? এ প্রশ্নে বললেন, ১৫-১৬ কাঠা জমি আছে। এক কাঠা বেচবো, বেচে ধার শোধ করব। তাছাড়া তো আর কোনো উপায় নাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদ বলেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে এটা নাই। কিন্তু কেউ মারা গেলে এটা করতে হয়। এটা আমাদের এলাকার রেওয়াজ।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা: চল্লিশা করলো পরিবার লাখ টাকা ধার করে

আপডেট সময় ১১:৪৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে ‘ঋণের দায়ে ও খাওয়ার অভাবে’ স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩৫)। এদিকে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মৃতদের জন্য লাখ টাকা ধার করে চল্লিশা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন মিনারুলের বাবা রুস্তম আলী। এই চল্লিশার আয়োজন করে এক হাজার ২০০ মানুষকে খাইয়েছেন তিনি। 

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট স্ত্রী মনিরা খাতুন (৩০), ছেলে মাহিম (১৪) ও মেয়ে মিথিলাকে (৩) হত্যা করার পর আত্মহত্যা করেন মিনারুল। মৃত্যুর আগে তিনি চিরকুটে লিখে গিয়েছেন- আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।

রুস্তম আলী বলেন, এ অনুষ্ঠানকে কেউ চল্লিশা বলে, কেউ বলে ফয়তা। সমাজের মানুষকে নিয়ে এটা করতে হয়। বাপ-দাদার আমল থেকেই দেখে আসছি। আমিও মনের আবেগে করলাম। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী করে। আমি গরিব মানুষ, মাংস করতে পারিনি। মাছ দিয়ে মুড়িঘণ্ট আর ডাল করেছি।

টাকা জোগাড় হলো কিভাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুস্তম আলী বলেন, সবই ধার-দেনা। আমার তো জমানো টাকা নাই। শোধ করবেন কিভাবে? এ প্রশ্নে বললেন, ১৫-১৬ কাঠা জমি আছে। এক কাঠা বেচবো, বেচে ধার শোধ করব। তাছাড়া তো আর কোনো উপায় নাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদ বলেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে এটা নাই। কিন্তু কেউ মারা গেলে এটা করতে হয়। এটা আমাদের এলাকার রেওয়াজ।’