ময়মনসিংহ , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

স্বৈরাচারকে সরালাম, কিন্তু বলার জায়গায় এখনও সংকোচ বললেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচার সরিয়েছি, কিন্তু বলার জায়গায় এখনও সংকোচ বোধ করি।’ তিনি বলেন, ‘বলা হয়, দল যার যার, দেশ সবার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, দেশ সবার না, যার হাতে ক্ষমতা, দেশ তার।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার কিংবা মালিকপক্ষ ছাড়াও এখন “নৈতিক খবরদারি” করতে চাওয়া একটি আগ্রাসী পাঠকগোষ্ঠী তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এরা এতটাই উগ্র হয়ে উঠেছে যে, সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া বা সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার মতো বক্তব্যও দিচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র ও টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন তৈরি করা হলেও, সেগুলোর প্রতি সরকারের তেমন আগ্রহ নেই।” তিনি মনে করেন, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে সংস্কারবিরোধী একটি জোট গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসতে চান, ওইসব রাজনৈতিক দলের উচিত অর্থনীতি বিষয়ে তাদের চিন্তাভাবনা জনসমক্ষে তুলে ধরা।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমীন নীলরমি বলেন, “বইটিতে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের নাম এলেও হুকুমদাতাদের নাম আসেনি।”

লেখক শওকত হোসেন মাসুম তার বক্তব্যে গত কয়েক দশকে ব্যাংক, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে কীভাবে লুটপাট হয়েছে, তার উদাহরণ তুলে ধরেন।

বইটি প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড। এতে রাজনৈতিক শক্তিকে ব্যবহার করে খেলাপি ঋণ, অবৈধ অর্থের প্রবাহ এবং ব্যাংক-শেয়ারবাজার লুণ্ঠনের মাধ্যমে কীভাবে একটি লুটেরা ধনিকশ্রেণি গড়ে উঠেছে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বৈরাচারকে সরালাম, কিন্তু বলার জায়গায় এখনও সংকোচ বললেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

আপডেট সময় ১২:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচার সরিয়েছি, কিন্তু বলার জায়গায় এখনও সংকোচ বোধ করি।’ তিনি বলেন, ‘বলা হয়, দল যার যার, দেশ সবার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, দেশ সবার না, যার হাতে ক্ষমতা, দেশ তার।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার কিংবা মালিকপক্ষ ছাড়াও এখন “নৈতিক খবরদারি” করতে চাওয়া একটি আগ্রাসী পাঠকগোষ্ঠী তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এরা এতটাই উগ্র হয়ে উঠেছে যে, সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া বা সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার মতো বক্তব্যও দিচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র ও টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন তৈরি করা হলেও, সেগুলোর প্রতি সরকারের তেমন আগ্রহ নেই।” তিনি মনে করেন, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে সংস্কারবিরোধী একটি জোট গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসতে চান, ওইসব রাজনৈতিক দলের উচিত অর্থনীতি বিষয়ে তাদের চিন্তাভাবনা জনসমক্ষে তুলে ধরা।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমীন নীলরমি বলেন, “বইটিতে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের নাম এলেও হুকুমদাতাদের নাম আসেনি।”

লেখক শওকত হোসেন মাসুম তার বক্তব্যে গত কয়েক দশকে ব্যাংক, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে কীভাবে লুটপাট হয়েছে, তার উদাহরণ তুলে ধরেন।

বইটি প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড। এতে রাজনৈতিক শক্তিকে ব্যবহার করে খেলাপি ঋণ, অবৈধ অর্থের প্রবাহ এবং ব্যাংক-শেয়ারবাজার লুণ্ঠনের মাধ্যমে কীভাবে একটি লুটেরা ধনিকশ্রেণি গড়ে উঠেছে, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।