ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক গুরুতর অসুস্থ। রোববার (১৭ আগস্ট) মধ্যরাতে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে ল্যাবএইড গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. এ এম শামীম জানান, আহমদ রফিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তার কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন থেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল সাদী। তিনি জানান, আহমদ রফিকের দেখভাল করেছেন ব্যক্তিগত সহকারী আবুল কালাম।
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল কালাম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে পা ভাঙার পর থেকেই আহমদ রফিকের অবস্থা বিশেষ ভালো যাচ্ছিল না। এর মধ্যে দৃষ্টি হারানোর পর লেখালেখি বন্ধ হওয়ায় খুবই মানসিক কষ্টে ছিলেন।
আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন ২০০৬ সালে। তিনি নিঃসন্তান। নিজের লেখা ও সংগ্রহ করা বিস্তর বই ছাড়া সম্পদ বলতেও কিছু নেই। কবিতা, প্রবন্ধ, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, গবেষণা মিলিয়ে তার লিখিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক।
সর্বশেষ বই, ভারত-পাকিস্তান বাংলাদেশ কথা ও প্রবন্ধগ্রন্থ শিল্প-সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের অমর একুশের বইমেলায়। রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ হিসেবে আহমদ রফিক দুই বাংলায় অগ্রগণ্য। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে পেয়েছেন ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি। দেশে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও পদক পেয়েছেন বহুগুণে গুণান্বিত এই মানুষটি।
সম্প্রতি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তরফে সংস্কৃতি উপদেষ্টা পাঁচ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছিলেন তাকে।