ময়মনসিংহ , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

হেফাজতের মহাসমাবেশ চলছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ ভোর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন।

সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের ভিড়ে ভোর থেকে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত হয়ে আসে।

হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, আজকের মহাসমাবেশের মুখ্য দাবি মূলত পাঁচটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিগুলো থাকবে।

 

সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদ বিন হোসাইন বলেন, হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা কুরআন বিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ড রুখতে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত। আজকের সমাবেশ তারই প্রমাণ। অবিলম্বে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল করতে হবে।

 

বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে মহাসমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সকাল ৯টা থেকে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও ভোর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন।

সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে তারা সতর্ক থাকবে। হেফাজত নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এই মহাসমাবেশ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভাবনা সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছে দিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

হেফাজতের মহাসমাবেশ চলছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

আপডেট সময় ১১:০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ ভোর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন।

সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের ভিড়ে ভোর থেকে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত হয়ে আসে।

হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, আজকের মহাসমাবেশের মুখ্য দাবি মূলত পাঁচটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে।

এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিগুলো থাকবে।

 

সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদ বিন হোসাইন বলেন, হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা কুরআন বিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ড রুখতে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত। আজকের সমাবেশ তারই প্রমাণ। অবিলম্বে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল করতে হবে।

 

বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে মহাসমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সকাল ৯টা থেকে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও ভোর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন।

সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে তারা সতর্ক থাকবে। হেফাজত নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এই মহাসমাবেশ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভাবনা সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছে দিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।