অনলাইন সংবাদ: ত্রি-কোণা বিশিষ্ট এ জাল দিয়ে মাছ ধরার চিত্র নতুন নয়। কেউ বলেন ‘হ্যাঙ্গা জাল’ আবার কেউ বলেন ‘ঠেলা জাল’।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৬টি ইউনিয়নের ‘হ্যাঙ্গা’ জালে মাছ ধরা হলো পুরাতন ঐতিহ্য। বর্ষা মৌসুমে এই জালের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সব বয়সী মানুষ এ জাল দিয়ে মাঝ ধরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অনেকেই এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় উপজেলার বড়ঘোপ আজম কলোনী গ্রামের কোখন (৬০) বলেন, হ্যাঙ্গা জাল তিন ধরনের হয়ে থাকে। ছোট, মাঝারি ও বড়। ছোট হ্যাঙ্গা দিয়ে শিশুরা এমনকি গ্রামের নারীরাও মাছ ধরে তাকে। মাঝারি হ্যাঙ্গা দিয়ে তরুণরা মাছ ধরে আর বড় হ্যাঙ্গা দিয়ে স্বাভাবিক বয়সের মানুষ এবং পেশাজীবিরা মাছ ধরে থাকে। একটি হ্যাঙ্গা জাল তৈরি করতে পাঁচশত থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
স্থানীয় একজন মাছ শিকারী প্রতিনিধিকে জানান যে, হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরা পুরাতন একটি ঐতিহ্য। সাধারণত আমাদের কুতুবদিয়ায় কোনও মৌসুম লাগেনা এই জাল দিয়ে মাছ ধরতে। বৃষ্টির পানি নামলে গ্রামের খালে-বিলে এ হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষ কুতুবদিয়ার পূর্বে মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেলে সাগরের কিনারায় অথবা পাইলট কাটা খালসহ উপজেলার বিভিন্ন খালে এই জাল দিয়ে মাছ ধরে।
উপজেলার আজম কলোনী গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আহসান হাবিব বলে, হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা। খুব ভালো লাগে, আনন্দ লাগে। আধা কেজি থেকে এক কেজি পযর্ন্ত মাছ ধরা যায় সহজেই।
ওই গ্রামের গৃহবধু গুন্নু বেগম (৩০) জানান, তারাও বাড়ির পাশে হ্যাঙ্গা দিয়ে মাছ ধরেন। বর্ষাকালে বাড়ির আশেপাশে চারদিকে পানি উঠায় মাছের বিচরণ বেড়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই হ্যাঙ্গা জাল দিয়ে মাছ ধরার অভ্যাস গড়ে উঠে তাদের।