পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে এক ধরনের চাঞ্চল্য। ডাকযোগে আসা দুটি চিঠিতে হুমকি আর চাঁদার দাবি মিলিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. আব্দুর রহমানের কাছে একটি রেজিস্ট্রিকৃত চিঠি আসে। চিঠিতে তাকে বলা হয়—জামায়াতের রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে হবে, আর দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা। খামের প্রেরকের নাম লেখা ছিল ‘মো. কবির মিয়া’; ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ ছিল নেছারাবাদ উপজেলার কামারকাঠী গ্রাম।
এর কয়েক দিন আগে, গত বুধবার, একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামী ওলামা বিভাগের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলামের কাছেও পৌঁছায় আরেকটি চিঠি। তাতেও ছিল রাজনীতি ছাড়ার নির্দেশ। খামের প্রেরক হিসেবে নাম আসে নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার বাসিন্দা মো. জাহিদ সিকদারের।
দুই ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় জামায়াত নেতাদের মধ্যে। স্বরূপকাঠি পৌর শাখার আমির মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের দুই নেতা ডাকযোগে চিঠি পেয়ে রাজনীতি ছাড়ার হুমকি ও চাঁদার দাবির শিকার হয়েছেন। আমরা চিঠিতে দেওয়া নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।’
পুলিশও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। চিঠিতে দেওয়া মোবাইল নম্বরগুলো ট্র্যাক করে দেখা গেছে, এগুলো চট্টগ্রামের। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান।