ময়মনসিংহ , সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

৩ শিক্ষার্থী স্কুলের ছাদ থেকে লাফিয়ে আহত

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় একটি স্কুলের ‘ছাদ পরিষ্কারের’ সময় হানা দিয়েছে মৌমাছি। এসময় মৌমাছির আক্রমণ থেকে বাঁচতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ও মৌমাছির আক্রমণে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ছাদ থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন। হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন বাকিরা।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বানিয়াল মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের সাত ছাত্র বিদ্যালয়ের ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ পরিষ্কারের জন্য দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ছাদে ওঠে। এক পর্যায় কাছে থাকা  একটি মৌ-চাক থেকে মৌমাছি দলবেঁধে তাদের আক্রমণ করে। মৌমাছির আক্রমণে শিক্ষার্থীরা দিশেহারা হয়ে এদিক সেদিক দৌড়াতে শুরু করে। আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য জাহিদ নামে এক শিক্ষার্থী ছাদ থেকে লাফিয়ে নীচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আরেক শিক্ষার্থী রিফাত পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে নীচে পড়ে আহত হয়। তাছাড়া স্কুলের ছাদ সংলগ্ন গাছে উঠে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আহত হন আরেক শিক্ষার্থী হাবিব।

তাদের সঙ্গে থাকা বাকি চার শিক্ষার্থীও সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে মৌমাছির কামড়ে আহত হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহুল আমীন জানান, জাহিদের দুটি পা ভেঙে গেছে। তাই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গুরুতর আহত হওয়া তিনজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা শিক্ষকের নির্দেশেই ছাদ পরিষ্কারের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।

স্থানীয় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদের বাবা জহিরুল ইসলাম, সিফাতের বাবা আবুল কালাম সর্দার ও হাবিবের বাবা খবিরউদ্দিন দেওয়ান জানিয়েছেন, এ ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা নিবেন। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর‌ মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রাসেল বেপারী দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীরা দুষ্টামি করে জন্য ছাদে উঠেছিলো। ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় যদি প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি বা দায় প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

৩ শিক্ষার্থী স্কুলের ছাদ থেকে লাফিয়ে আহত

আপডেট সময় ১২:৪২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় একটি স্কুলের ‘ছাদ পরিষ্কারের’ সময় হানা দিয়েছে মৌমাছি। এসময় মৌমাছির আক্রমণ থেকে বাঁচতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ও মৌমাছির আক্রমণে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ছাদ থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন। হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন বাকিরা।

গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বানিয়াল মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের সাত ছাত্র বিদ্যালয়ের ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ পরিষ্কারের জন্য দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ছাদে ওঠে। এক পর্যায় কাছে থাকা  একটি মৌ-চাক থেকে মৌমাছি দলবেঁধে তাদের আক্রমণ করে। মৌমাছির আক্রমণে শিক্ষার্থীরা দিশেহারা হয়ে এদিক সেদিক দৌড়াতে শুরু করে। আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য জাহিদ নামে এক শিক্ষার্থী ছাদ থেকে লাফিয়ে নীচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আরেক শিক্ষার্থী রিফাত পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে নীচে পড়ে আহত হয়। তাছাড়া স্কুলের ছাদ সংলগ্ন গাছে উঠে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আহত হন আরেক শিক্ষার্থী হাবিব।

তাদের সঙ্গে থাকা বাকি চার শিক্ষার্থীও সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে মৌমাছির কামড়ে আহত হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহুল আমীন জানান, জাহিদের দুটি পা ভেঙে গেছে। তাই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গুরুতর আহত হওয়া তিনজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা শিক্ষকের নির্দেশেই ছাদ পরিষ্কারের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।

স্থানীয় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদের বাবা জহিরুল ইসলাম, সিফাতের বাবা আবুল কালাম সর্দার ও হাবিবের বাবা খবিরউদ্দিন দেওয়ান জানিয়েছেন, এ ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা নিবেন। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর‌ মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রাসেল বেপারী দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীরা দুষ্টামি করে জন্য ছাদে উঠেছিলো। ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় যদি প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি বা দায় প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।