ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান গত হজে ব্যয় না হওয়া ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে:ধর্ম উপদেষ্টা প্রস্তুত জলকামান ও সাঁজোয়া যান শিক্ষা ভবনের সামনে এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা এমপিত্তভুক্ত শিক্ষকদের ৪ দফা দাবিতে চলছে কর্মবিরতি ১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণে ৩ শ্রমিক দগ্ধ চট্টগ্রাম একাত্তরের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নষ্ট করা হচ্ছে বললেন মির্জা ফখরুল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘অসামাজিক কাজের’ অভিযোগে নারীর গলায় জুতার মালা, কাটা হলো চুল মির্জা আব্বাস-রিজভীসহ অব্যাহতি পেলেন ১৬৭ জন নাশকতার মামলায়
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

৪ আসামি আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে : পুলিশ

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১০:১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানের লামার ৫নং সরই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বেতছড়া টঙ্গাঝিরি পাড়ায় আগুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে প্রাথমিক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘরে আগুন দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) লামা থানা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মসৈনিয়া ত্রিপুরা (৪৪), জোয়াকিম ত্রিপুরা (৫২) ও ইব্রাহীম (৬৫)। তারা সবাই বান্দরবানের লামার ৫নং সরই ইউনিয়নের বাসিন্দা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিরাসহ অন্যরা মামলার বাদী গুঙ্গামনি ত্রিপুরা ও ভুক্তভোগীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। সেই চাঁদা না পাওয়ায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাদীসহ অন্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসামিরা রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে থাকা মাচাং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ১৬টি মাচাং ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে আনুমানিক চার লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে লামা থানায় মামলা করা হয়।

এতে বলা হয়, মামলার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম এবং লামা থানা পুলিশের তৎপরতায় এজাহারনামীয় সাতজনের মধ্যে চারজনকে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা চাঞ্চল্যকর ঘর পোড়ানোর কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাউছার। তিনি বলেন, “বিষয়টিকে আমরা সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ঘটনাটি ঘটার পর সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। রাতভর আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান

৪ আসামি আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে : পুলিশ

আপডেট সময় ১০:১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বান্দরবানের লামার ৫নং সরই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বেতছড়া টঙ্গাঝিরি পাড়ায় আগুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে প্রাথমিক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘরে আগুন দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) লামা থানা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মসৈনিয়া ত্রিপুরা (৪৪), জোয়াকিম ত্রিপুরা (৫২) ও ইব্রাহীম (৬৫)। তারা সবাই বান্দরবানের লামার ৫নং সরই ইউনিয়নের বাসিন্দা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিরাসহ অন্যরা মামলার বাদী গুঙ্গামনি ত্রিপুরা ও ভুক্তভোগীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। সেই চাঁদা না পাওয়ায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাদীসহ অন্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসামিরা রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে থাকা মাচাং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ১৬টি মাচাং ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে আনুমানিক চার লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে লামা থানায় মামলা করা হয়।

এতে বলা হয়, মামলার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমীর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম এবং লামা থানা পুলিশের তৎপরতায় এজাহারনামীয় সাতজনের মধ্যে চারজনকে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা চাঞ্চল্যকর ঘর পোড়ানোর কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাউছার। তিনি বলেন, “বিষয়টিকে আমরা সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ঘটনাটি ঘটার পর সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। রাতভর আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”