ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মেট্রোরেলে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা বললেন রেল উপদেষ্টা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে যেন সংবিধানের বাইরে না যাই বললেন সালাহউদ্দিন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড দুর্ঘটনায় নিহতের পরিচয় মিলেছে ফার্মগেটে জমিদারি মানসিকতাই তো ফ্যাসিবাদ বললেন উমামা ফাতেমা ২৭ অক্টোবরের মধ্যে এমপিও বিল অনলাইনে সাবমিট করার নির্দেশ মাউশির প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের যমুনা পদযাত্রা শাহবাগে পুলিশের বাধার মুখে এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ সাতটি সিম, নির্বাচনের আগে কার্যকর বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চারদিকে অদৃশ্য শক্তি ও ধান্দাবাজ গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বললেন দুদু দেশগঠনে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বললেন সেনাপ্রধান পথচারীর মৃত্যু মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং স্প্রিং ছিটকে পড়ে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

বাস ও সিএনজি শ্রমিকের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে ভোলা থেকে ৫ রুটে বন্ধ হয়ে পড়েছে বাস চলাচল।

সোমবার (৫ মে) সকাল থেকে ৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। এর আগে রোববার যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে ভোলায় বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাসশ্রমিক ইউনিয়ন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির দাবি, বাংলাবাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, অটোরিকশাচালকেরা পাঁচ স্থানে বাসশ্রমিকদের মারধর ও দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাসশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডাকার পর যাত্রী পরিবহন করায় বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে তিনটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও একটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। পরে লালমোহনে দুটি বাস আটকে রাখেন ক্ষুব্ধ চালকেরা। তবে কেউ ভাঙচুর করেননি।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে ভোলা-চরফ্যাশন, ভোলা-তজুমদ্দিন, ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-ইলিশা ও ভোলা-ভেদুরিয়া রুটসহ ৫ রুটের বাস চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৫ রুটের কয়েক হাজার যাত্রী। ধর্মঘটের সুযোগে ছোট যানবাহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের।

যাত্রী মো. মঞ্জু, কামাল ও সাদ্দাম হোসেন জানান, তারা বরিশাল থেকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন। লালমোহন যাবেন, কিন্তু বাস বন্ধ। এখন বিকল্প যানবাহন হিসেবে মাইক্রোবাসে করে যাবেন। তবে বাসের চেয়ে ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে কিছু করার নাই।

ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত হাসনাইন পারভেজ জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের সঙ্গে রাত থেকেই আলোচনা করছেন তারা। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সমাধান হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

মেট্রোরেলে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা বললেন রেল উপদেষ্টা

৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আপডেট সময় ০২:০৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

বাস ও সিএনজি শ্রমিকের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে ভোলা থেকে ৫ রুটে বন্ধ হয়ে পড়েছে বাস চলাচল।

সোমবার (৫ মে) সকাল থেকে ৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। এর আগে রোববার যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে ভোলায় বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাসশ্রমিক ইউনিয়ন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির দাবি, বাংলাবাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা। তবে পাল্টা অভিযোগ করে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, অটোরিকশাচালকেরা পাঁচ স্থানে বাসশ্রমিকদের মারধর ও দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাসশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডাকার পর যাত্রী পরিবহন করায় বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে তিনটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও একটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। পরে লালমোহনে দুটি বাস আটকে রাখেন ক্ষুব্ধ চালকেরা। তবে কেউ ভাঙচুর করেননি।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে ভোলা-চরফ্যাশন, ভোলা-তজুমদ্দিন, ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-ইলিশা ও ভোলা-ভেদুরিয়া রুটসহ ৫ রুটের বাস চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৫ রুটের কয়েক হাজার যাত্রী। ধর্মঘটের সুযোগে ছোট যানবাহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের।

যাত্রী মো. মঞ্জু, কামাল ও সাদ্দাম হোসেন জানান, তারা বরিশাল থেকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন। লালমোহন যাবেন, কিন্তু বাস বন্ধ। এখন বিকল্প যানবাহন হিসেবে মাইক্রোবাসে করে যাবেন। তবে বাসের চেয়ে ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে কিছু করার নাই।

ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত হাসনাইন পারভেজ জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের সঙ্গে রাত থেকেই আলোচনা করছেন তারা। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সমাধান হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।