ময়মনসিংহ , রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার শঙ্কা, সতর্ক থাকার নির্দেশ পুলিশকে পুড়লো ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন বিমানবন্দরে আগুনে , ২০ ঘণ্টা পরও উড়ছে ধোঁয়া ফ্লাইট সূচিতে বিপর্যয়, যাত্রীরা ভোগান্তিতে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখান, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনতাই লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস,ভাঙছে মিলনমেলা আজ প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বললেন ইসি আনোয়ারুল প্রায় দুই মণ গাঁজাসহ দুইজন আটক ফুলবাড়ীতে জাতিসংঘের অর্থসংকটে ১৩১৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দেশে ফিরছেন সাইফ প্রাক্তন স্ত্রীকে ভুলতে পারছেন না
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

৭ দিনের আল্টিমেটাম চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল স্থগিতে ব্যবসায়ীদের

  • ডিজিটাল রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৯:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবায় ‘অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত’ ট্যারিফ আরোপের প্রতিবাদে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বর্ধিত মাশুল স্থগিতের জন্য সাত দিনের সময় দিয়ে ‘বন্দর বন্ধের’ মতো বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 

গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বন্দর নগরীর টাইগার পাসে নেভি কনভেনশন সেন্টারে ‘পোর্ট ইউজার্স ফোরাম’ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ব্যবসায়ীরা এই হুঁশিয়ারি দেন। বর্ধিত মাশুল স্থগিতের দাবিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে ৪ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে এর সমাধান না হলে ভবিষ্যতে বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সভা থেকে এই ঘোষণা যখন দেওয়া হয়, তখন প্রবেশ মাশুল চারগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বন্দরে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
গত  শনিবার সকাল থেকেই কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনকারী সব ধরনের যানবাহন বিশেষ করে ট্রাক, ট্রেইলার, কভার্ড ভ্যান মালিক সংস্থাগুলো বন্দরের প্রবেশ মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যবসায়ীদের আপত্তির পরও গত ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ কার্যকর করা হয়, যাতে বিভিন্ন সেবায় মাশুল আগের চেয়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক বলেন, ‘ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে যখন প্রশাসক বসে ছিল—সেই সময় মাশুল বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এটা হতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি সতর্ক করে ইঙ্গিত দেন, আগামী দিনে মাশুল বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হলে এর দায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের।বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম প্রশ্ন তোলেন, মোংলা ও পায়রা বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়নি, শুধু চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ানো হয়েছে, লাভে থাকার পরও কেন এই বর্ধিত ট্যারিফ? ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব বলেন, ‘যে সরকার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ট্যারিফ কমায় সেই সরকার বন্দরে ট্যারিফ বাড়ায়। এতে দেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন।’

বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল জানান, ৫৭ টাকার প্রবেশ ফি একবারে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করা হয়েছে, অথচ একবার যাওয়ায় তাদের ৫০০ টাকা আয় হয় না।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার শঙ্কা, সতর্ক থাকার নির্দেশ পুলিশকে

৭ দিনের আল্টিমেটাম চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল স্থগিতে ব্যবসায়ীদের

আপডেট সময় ০৯:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবায় ‘অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত’ ট্যারিফ আরোপের প্রতিবাদে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বর্ধিত মাশুল স্থগিতের জন্য সাত দিনের সময় দিয়ে ‘বন্দর বন্ধের’ মতো বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 

গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বন্দর নগরীর টাইগার পাসে নেভি কনভেনশন সেন্টারে ‘পোর্ট ইউজার্স ফোরাম’ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ব্যবসায়ীরা এই হুঁশিয়ারি দেন। বর্ধিত মাশুল স্থগিতের দাবিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে ৪ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

ফোরামের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে এর সমাধান না হলে ভবিষ্যতে বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সভা থেকে এই ঘোষণা যখন দেওয়া হয়, তখন প্রবেশ মাশুল চারগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বন্দরে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
গত  শনিবার সকাল থেকেই কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনকারী সব ধরনের যানবাহন বিশেষ করে ট্রাক, ট্রেইলার, কভার্ড ভ্যান মালিক সংস্থাগুলো বন্দরের প্রবেশ মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যবসায়ীদের আপত্তির পরও গত ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ কার্যকর করা হয়, যাতে বিভিন্ন সেবায় মাশুল আগের চেয়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক বলেন, ‘ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে যখন প্রশাসক বসে ছিল—সেই সময় মাশুল বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এটা হতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি সতর্ক করে ইঙ্গিত দেন, আগামী দিনে মাশুল বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হলে এর দায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের।বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম প্রশ্ন তোলেন, মোংলা ও পায়রা বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়নি, শুধু চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ানো হয়েছে, লাভে থাকার পরও কেন এই বর্ধিত ট্যারিফ? ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব বলেন, ‘যে সরকার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ট্যারিফ কমায় সেই সরকার বন্দরে ট্যারিফ বাড়ায়। এতে দেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন।’

বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল জানান, ৫৭ টাকার প্রবেশ ফি একবারে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করা হয়েছে, অথচ একবার যাওয়ায় তাদের ৫০০ টাকা আয় হয় না।