চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবায় ‘অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত’ ট্যারিফ আরোপের প্রতিবাদে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বর্ধিত মাশুল স্থগিতের জন্য সাত দিনের সময় দিয়ে ‘বন্দর বন্ধের’ মতো বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) বন্দর নগরীর টাইগার পাসে নেভি কনভেনশন সেন্টারে ‘পোর্ট ইউজার্স ফোরাম’ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ব্যবসায়ীরা এই হুঁশিয়ারি দেন। বর্ধিত মাশুল স্থগিতের দাবিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে ৪ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সভা থেকে এই ঘোষণা যখন দেওয়া হয়, তখন প্রবেশ মাশুল চারগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বন্দরে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
গত শনিবার সকাল থেকেই কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনকারী সব ধরনের যানবাহন বিশেষ করে ট্রাক, ট্রেইলার, কভার্ড ভ্যান মালিক সংস্থাগুলো বন্দরের প্রবেশ মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যবসায়ীদের আপত্তির পরও গত ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ কার্যকর করা হয়, যাতে বিভিন্ন সেবায় মাশুল আগের চেয়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক বলেন, ‘ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে যখন প্রশাসক বসে ছিল—সেই সময় মাশুল বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এটা হতে দেওয়া যাবে না।’ তিনি সতর্ক করে ইঙ্গিত দেন, আগামী দিনে মাশুল বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হলে এর দায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের।বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম প্রশ্ন তোলেন, মোংলা ও পায়রা বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়নি, শুধু চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ানো হয়েছে, লাভে থাকার পরও কেন এই বর্ধিত ট্যারিফ? ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব বলেন, ‘যে সরকার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ট্যারিফ কমায় সেই সরকার বন্দরে ট্যারিফ বাড়ায়। এতে দেশের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন।’
বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল জানান, ৫৭ টাকার প্রবেশ ফি একবারে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করা হয়েছে, অথচ একবার যাওয়ায় তাদের ৫০০ টাকা আয় হয় না।