বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতুড়ি-শাবল নিয়ে ম্যুরাল ভাঙচুর শুরু হয়। পরে তা গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন, জেলা কমিটির মুখপাত্র ফয়সাল ফারনিম, মহানগর কমিটির সদস্যসচিব আল নুর মো. আয়াস, মহানগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাফিউস রোহানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই অপতৎপরতা দেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। এরই প্রতীকস্বরূপ ধানমন্ডির-৩২ নম্বরের মতো ময়মনসিংহেও শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে ছাত্র-জনতা।’
অন্যদিকে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হলের ‘মুজিব ম্যুরাল’। রাত ১১টার দিকে ভাঙচুর শুরু করেন ছাত্র-জনতা।
তাছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম ফলক ও ম্যুরাল ভেঙে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা হলের নাম পরিবর্তন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।