জোড়া খুনের ঘটনায় মার্কিন পুলিশ জর্জ ফ্রাজিয়ার দেভন হারটন (৪৪) নামের একটি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ ) সকালে মদ কিনতে ওই দোকানে যায়। তিনি জিজ্ঞাসা করেন দোকানটি কেন রাতে বন্ধ থাকে। এরপরই তিনি বাবা ও মেয়েকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রদীপ প্যাটেল মারা যায়। তবে তার মেয়ে উর্মীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ছয় বছর আগে প্রদীপ প্যাটেল, তার স্ত্রী হানসাবেন এবং মেয়ে উর্মী ভারতের মহারাষ্ট্রের মহসেনা জেলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জামান। তারা সেখানে তাদের আত্মীয় পারেস প্যাটেলের দোকানে কাজ করত। ভার্জিনিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়াভি টিভিকে পারেস প্যাটেল বলেন, নিহত দুজন তার পরিবারের সদস্য।
তিনি আরও বলেন, আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী এবং তার বাবা ঘটনার দিন সকালে দোকানে কাজ করতেছিল। এ সময় কয়েকজন দোকানে এসে গুলি চালায়। কী কারণে এমনটা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানি না। পারদীপ প্যাটেল এবং হানসাবেনের আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। তাদের একজন কানাডা এবং অন্যজন আহমেদাবাদ থাকেন।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জোড়া খুনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবারত ভারতীয় কমিউনিটির মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে। কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনাতে ৩৬ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত দোকানদারকে গুলি করে হত্যা করে ডাকাতরা।