টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারধর
মেক্সিকোর তুলুম শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি বিমান যাচ্ছে। অর্থডক্স এক ইহুদি যাত্রী চড়ছেন সে বিমানে। তিনি প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে বিমানের টয়লেটে গেলেন। স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি সময় নিলেন। টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় পাইলট তাকে বের করে পিটিয়েছেন এমন অভিযোগ ওই ইহুদির।
যাত্রীর নাম ইয়িস রোয়েল লিয়েব। নিউজার্সিতে থাকেন তিনি। ওই ঘটনায় গেল সপ্তাহে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে (সিবিপি) আসামি করে মামলা করেছেন তিনি। ইয়িস জানান, উড়োজাহাজটি অবতরণের পর তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
উড়োজাহাজটিতে থাকা আরেক অর্থডক্স ইহুদি যাত্রী জানান, সিবিপি কর্মকর্তারা তাদের বিমানবন্দর টার্মিনালে আটকে রাখে। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। এতে করে তারা নিউইয়র্কের ফ্লাইট ধরতে পারেনি।
এ বিষয়ে সিবিপির অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হিল্টন বেকহ্যাম বলেন, উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধের জেরেই ওই দুই যাত্রীকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়।
গত বুধবার ম্যানহ্যাটন ফেডারেল কোর্টে হওয়া মামলায় লিয়েব জানান, গত ২৮ জানুয়ারি তার সঙ্গে ওই ঘটনাটি ঘটে। ফ্লাইটে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় বাথরুমে ছিলেন তিনি। একজন বিমানমালা তাকে টয়লেট থেকে বের হতে বলেন এ মধ্যে। বিমানবালাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের কথা জানান তিনি। এর ১০ মিনিট পর এক পাইলট এসে লিয়েবকে দ্রুত টয়লেট ছাড়তে বলেন।
একপর্যায়ে পাইলট টয়লেটের দরজার লক ভেঙে ফেলেন। পরে লিয়েবকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করেন। ঘটনাটি এত দ্রুত হচ্ছিল যে লিয়েব প্যান্ট পর্যন্ত পরিধানের সময় পায়নি বলে দাবি তার।
আড়াই ঘণ্টা পর হিউস্টন বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। সিবিপির ছয়জন কর্মকর্তা উড়োজাহাজটিতে উঠে। পরে ওই দুই যাত্রীকে আটক করে নিয়ে যায়।