ময়মনসিংহ , রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পথচারীর মৃত্যু মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং স্প্রিং ছিটকে পড়ে বন্যপ্রাণী হত্যা রোধে নতুন আইনে জামিনের ব্যবস্থা থাকছে না বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা প্রতারণা মামলায় আত্মসমর্পণ: গ্রামীণফোনের সিইওসহ ৩ জন জামিন পেলেন নদী দূষণে ডলফিন ও মানুষ উভয়ই বিপদে বললেন রিজওয়ানা হাসান নির্বাচন বানচালে তৎপরতা চালাচ্ছে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বললেন ফারুক খায়রুল হকের আবেদনের শুনানি দুপুরে ৫ মামলায় জামিন চেয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনালে স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর রেজুখাল থেকে ঢাকায় তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগরে: সমুদ্রবন্দরগুলোতে সতর্কতা বাংলাদেশের
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

নতুন নোট নিয়ে যা বললেন গভর্নর

ঈদে নতুন নোট হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত সরকারের বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সম্প্রতি লন্ডন সফরে দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, সরকারের নির্দেশেই বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নষ্ট না করে অবশিষ্ট টাকা আপাতত সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে।
‘নতুন করে আগের সরকারের অতিরিক্ত ছাপানো টাকাগুলোর অবশিষ্টগুলো বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। যেসব নোট অবশিষ্ট আছে, সেগুলো আপাতত বাক্সবন্দি অবস্থায় থাকবে। নতুন নোট ছাপানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি ব্রিটেন ও একটি সুইস কোম্পানি এটি তৈরি করছে। এপ্রিলের শেষ নাগাদ নতুন নোট বাজারে আসতে পারে।’
এসময় ব্যাংকের গভর্নর রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে বলেছন, ‘দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। আর চলতি মাসের ১৯ দিনে এসেছে সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার। ইতিহাস ভেঙে একক মাস হিসাবে এটি ৩ বিলিয়ন হওয়ার আশা গভর্নরের।’
‘রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে তিন বিলিয়ন হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন হতে পারে।

সফর প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, এস আলমসহ বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থের খোঁজে তিনি এসেছেন। কোথায় কী কী সম্পদ আছে এবং তা দেশে ফিরিয়ে নিতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার কথাও জানান।

১৫-২০ বিলিয়ন ডলার একই ব্যক্তি ও তার পরিবার নিয়ে গেছে। যেসব জায়গা থেকে এসব অর্থ নেয়া হয়েছে সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপের অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কীভাবে নেয়া হয়েছে, বিদেশে কী কী সম্পদ রয়েছে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট এনজিও, লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

গভর্নর বলেন, অবাধে অর্থপাচার বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে রিজার্ভের ক্ষয় অনেকটাই কমে এসেছে। আইএমএফের বিপিএম-সিক্স অনুযায়ী ২০ মার্চ রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক নয় ছয় বিলিয়ন ডলার।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

পথচারীর মৃত্যু মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং স্প্রিং ছিটকে পড়ে

নতুন নোট নিয়ে যা বললেন গভর্নর

আপডেট সময় ১১:৩১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

ঈদে নতুন নোট হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত সরকারের বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সম্প্রতি লন্ডন সফরে দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, সরকারের নির্দেশেই বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নষ্ট না করে অবশিষ্ট টাকা আপাতত সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে।
‘নতুন করে আগের সরকারের অতিরিক্ত ছাপানো টাকাগুলোর অবশিষ্টগুলো বাজারে ছাড়া হচ্ছে না। যেসব নোট অবশিষ্ট আছে, সেগুলো আপাতত বাক্সবন্দি অবস্থায় থাকবে। নতুন নোট ছাপানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি ব্রিটেন ও একটি সুইস কোম্পানি এটি তৈরি করছে। এপ্রিলের শেষ নাগাদ নতুন নোট বাজারে আসতে পারে।’
এসময় ব্যাংকের গভর্নর রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে বলেছন, ‘দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। আর চলতি মাসের ১৯ দিনে এসেছে সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার। ইতিহাস ভেঙে একক মাস হিসাবে এটি ৩ বিলিয়ন হওয়ার আশা গভর্নরের।’
‘রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে তিন বিলিয়ন হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন হতে পারে।

সফর প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, এস আলমসহ বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থের খোঁজে তিনি এসেছেন। কোথায় কী কী সম্পদ আছে এবং তা দেশে ফিরিয়ে নিতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার কথাও জানান।

১৫-২০ বিলিয়ন ডলার একই ব্যক্তি ও তার পরিবার নিয়ে গেছে। যেসব জায়গা থেকে এসব অর্থ নেয়া হয়েছে সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপের অর্থ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কীভাবে নেয়া হয়েছে, বিদেশে কী কী সম্পদ রয়েছে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট এনজিও, লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

গভর্নর বলেন, অবাধে অর্থপাচার বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে রিজার্ভের ক্ষয় অনেকটাই কমে এসেছে। আইএমএফের বিপিএম-সিক্স অনুযায়ী ২০ মার্চ রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক নয় ছয় বিলিয়ন ডলার।