বাংলাদেশে একটি স্থায়ী ও প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়নের কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। আমরা বারবার দেখেছি—শুধু গণতন্ত্র হোচট খায়নি, বরং ব্যক্তিতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই বাস্তবতা আমাদের সবাইকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে।”
রাজনৈতিক দলগুলোর বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী দলের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, “যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিগুলো দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে, সেই অগণতান্ত্রিক চর্চার বিরুদ্ধে বিএনপি সবসময় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই আজকের এই উদ্যোগ।”
ড. আলী রীয়াজ জানান, ইতোমধ্যেই জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সুস্পষ্ট ঐক্যমত্য তৈরি হয়েছে, কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও আলোচনা-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, “আমি বারবার বলে এসেছি, আজ আবার বলছি—আমরা টেবিলের দুই পাশে বসলেও আসলে আমরা দুই পক্ষ নই। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে জাতির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি—একটি জাতীয় ঐক্যমত্য গড়ে তোলার, গণতন্ত্রকে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে।”
গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ জানেন, বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কীভাবে নিপীড়িত হয়েছে, কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আজকের আলোচনাও সেই লড়াইয়েরই একটি অংশ।”
শেষে তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে এবং কমিশনের প্রধানের পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।