আজ রোববার (৪ মে) সকাল ১১টার কিছু পরে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে পুরো হাসপাতাল বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও রোহিঙ্গা ওয়ার্ডের মাঝখানে খোলা জায়গায় পুরোনো কিছু মালামাল ফেলে রাখা ছিল। সেখানেই সকাল ১১টা ৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে দুপুর সোয়া একটার দিকেও বিদ্যুৎ–সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, আগুনে যে মালামাল পুড়েছে, সেগুলো আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল এবং নিলামে তোলার প্রস্তুতি চলছিল। তার ধারণা, কেউ অসাবধানতাবশত সিগারেটের জ্বলন্ত অংশ ফেলে দিলে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আগুনে পাওয়ার হাউসের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরো হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এতে আইসিইউসহ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোতে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ সকালে হাসপাতালের জেনারেটরটিও বিকল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় জরুরি সেবা চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতের কাজ করছে।’
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কও ওই কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন বলে জানান তিনি।