ময়মনসিংহ , শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
‘দক্ষিণ এশিয়ায় জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সুযোগ এসেছে’:শিল্প উপদেষ্টা সরকার না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বললেন বদিউল আলম মজুমদার আসিফ নজরুলের আহ্বান চিকিৎসকদের প্রতি অনর্থক টেস্ট না দিতে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সুযোগ এসেছে বললেন শিল্প উপদেষ্টা এক চেতনার বদলে আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে বললেন রিজভী ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিনে এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ এবার যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগে খেলবেন সাকিব আল হাসান আ.লীগ ধর্মের বিভাজন সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন টুকু এক মাসে আয় সাড়ে ৬ লাখ ডলার হিলি স্থলবন্দরে কোনো দল চায় আর না চায়, আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হবেই বললেন গোলাম পরওয়ার
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা চলছে সারা দেশে

জেলার ৬৪ উপজেলায় মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ মাটি পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে আগামী একমাস (৫ জুন পর্যন্ত)। এ সেবায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার (ভ্রাম্যমাণ গাড়ি) গিয়ে কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করে দেবে। এতে কৃষকের ব্যয় হবে মাত্র ২৫ টাকা।  মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সোমবার (৫ মে) প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ অনুবিভাগ) মো. জাকির হোসেন।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. সামিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নূরুল হুদা আল মামুন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন বলেন, মাটি ব্যবহার করে ফসল চাষ করলে কেমিক্যাল সারের ব্যবহার কমবে ও জৈব সারের ব্যবহার বাড়বে। তাছাড়া ফসলের উৎপাদন বাড়বে।

ড. সামিয়া সুলতানা বলেন, এ কার্যক্রম একমাস চলবে। মাটি সংগ্রহের জন্য প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে এবার ৩ হাজার ২০০ জন কৃষকের মাটি পরীক্ষা করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বর্তমানে ১০টি গাড়ি রয়েছে। এগুলো ৬৪ জেলার মাটি পরীক্ষায় ব্যবহার হবে। সোমবার ৫ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত এক মাস সারাদেশে মাটি পরীক্ষা করা হবে। মাটি পরীক্ষা জাতীয় কার্যক্রম।

ড. আনিসুর রহমান বলেন, সারা বছরে দুইবার ও রবি ও খরিফ মৌসুমে মোবাইল ভ্যান গাড়ি দিয়ে মাটি পরীক্ষা করা হয়। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে দেশে বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। বছরে সরকার সারে ভর্তুকি দেয় ২৬ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, সারা দেশে আমাদের ২৪টি ল্যাব আছে। সেখানে ৫০ টাকা করে দিয়ে যে কোনো সময় মাটি পরীক্ষা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় ৫০ জন কৃষকের মাটি পরীক্ষা করা হবে ও তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট তারা পাবে। ফার্টিলাইজার কার্ডে গত বছর ৬০ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

ড. মো. আনিসুর রহমান জানান, মাটি পরীক্ষা করে ফসল চাষ করলে ২০-২৫ শতাংশ সার কম লাগে ও একই হারে ফলন বাড়ে। আগে ৫৬ জেলায় পরীক্ষা করা হতো। এবার পরিধি বেড়েছে।

অন্যদিকে সকালে খামারবাড়িতে বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মো. জাকির হোসেন।

এ সময় জাকির হোসেন বলেন, আমাদের অনেক বীজ আছে কিন্তু সেগুলো উৎপাদন না করে বরং বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। অথচ এগুলো আমরা উৎপাদন করতে পারি। তিনি চাষিদের আগাম ফসলের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন। চাষিদের বাজার দর সম্পর্কে জানাতে হবে।

চরাঞ্চলে স্থায়ীভাবে আয় হয় এমন গাছপালা রোপণের পরামর্শ দিয়ে জাকির হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের চাষযোগ্য জমি কতটুকু ও পতিত জমির তথ্য সংগ্রহ করা দরকার।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘দক্ষিণ এশিয়ায় জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সুযোগ এসেছে’:শিল্প উপদেষ্টা

ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা চলছে সারা দেশে

আপডেট সময় ০৩:০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

জেলার ৬৪ উপজেলায় মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ মাটি পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে আগামী একমাস (৫ জুন পর্যন্ত)। এ সেবায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার (ভ্রাম্যমাণ গাড়ি) গিয়ে কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করে দেবে। এতে কৃষকের ব্যয় হবে মাত্র ২৫ টাকা।  মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সোমবার (৫ মে) প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ অনুবিভাগ) মো. জাকির হোসেন।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. সামিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নূরুল হুদা আল মামুন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন বলেন, মাটি ব্যবহার করে ফসল চাষ করলে কেমিক্যাল সারের ব্যবহার কমবে ও জৈব সারের ব্যবহার বাড়বে। তাছাড়া ফসলের উৎপাদন বাড়বে।

ড. সামিয়া সুলতানা বলেন, এ কার্যক্রম একমাস চলবে। মাটি সংগ্রহের জন্য প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে এবার ৩ হাজার ২০০ জন কৃষকের মাটি পরীক্ষা করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বর্তমানে ১০টি গাড়ি রয়েছে। এগুলো ৬৪ জেলার মাটি পরীক্ষায় ব্যবহার হবে। সোমবার ৫ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত এক মাস সারাদেশে মাটি পরীক্ষা করা হবে। মাটি পরীক্ষা জাতীয় কার্যক্রম।

ড. আনিসুর রহমান বলেন, সারা বছরে দুইবার ও রবি ও খরিফ মৌসুমে মোবাইল ভ্যান গাড়ি দিয়ে মাটি পরীক্ষা করা হয়। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে দেশে বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। বছরে সরকার সারে ভর্তুকি দেয় ২৬ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, সারা দেশে আমাদের ২৪টি ল্যাব আছে। সেখানে ৫০ টাকা করে দিয়ে যে কোনো সময় মাটি পরীক্ষা করা হয়। প্রতিটি উপজেলায় ৫০ জন কৃষকের মাটি পরীক্ষা করা হবে ও তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট তারা পাবে। ফার্টিলাইজার কার্ডে গত বছর ৬০ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

ড. মো. আনিসুর রহমান জানান, মাটি পরীক্ষা করে ফসল চাষ করলে ২০-২৫ শতাংশ সার কম লাগে ও একই হারে ফলন বাড়ে। আগে ৫৬ জেলায় পরীক্ষা করা হতো। এবার পরিধি বেড়েছে।

অন্যদিকে সকালে খামারবাড়িতে বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মো. জাকির হোসেন।

এ সময় জাকির হোসেন বলেন, আমাদের অনেক বীজ আছে কিন্তু সেগুলো উৎপাদন না করে বরং বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। অথচ এগুলো আমরা উৎপাদন করতে পারি। তিনি চাষিদের আগাম ফসলের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন। চাষিদের বাজার দর সম্পর্কে জানাতে হবে।

চরাঞ্চলে স্থায়ীভাবে আয় হয় এমন গাছপালা রোপণের পরামর্শ দিয়ে জাকির হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের চাষযোগ্য জমি কতটুকু ও পতিত জমির তথ্য সংগ্রহ করা দরকার।