ময়মনসিংহ , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বললেন ‍সারজিস

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্যর হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের সঙ্গে অসভ্য আচরণ এবং দায় চাপানোর অপচেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সারজিস আলম বলেন, উদ্যানের নিরাপত্তা বা ব্যবস্থাপনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আওতায় নয়। বরং সেখানে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, হেনস্তা ইত্যাদি কাজ চলে বিভিন্ন প্রভাবশালী সংগঠন ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতায়।

বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘উদ্যানের গেট ও আশপাশে ভাসমান দোকানগুলো বসিয়েছে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন। এগুলো থেকে চাঁদা আদায় করা হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নয়, বরং ওইসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরিচালনা করে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘মাদক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও অবৈধ দোকান বসানোর মাধ্যমে যারা ক্যাম্পাসে পরিবেশ নষ্ট করেছে, তারাই এই হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ কেউ এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘টিএসসিকে ক্যাম্পাসের চা দোকানের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। প্রায় ৩০টি চা দোকান প্রতিদিন পুরো ঢাকা শহর থেকে হাজার হাজার বহিরাগতকে টেনে আনে, যার মধ্যে মাদকসেবীও থাকে। এতে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’

তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে। চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য ও অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নিতে গেলে ‘একটি গোষ্ঠী’ বাধা দেয়।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ, বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ ও টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে হবে।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। প্রশাসন যেন অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাণ হারাতে না হয়।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বললেন ‍সারজিস

আপডেট সময় ১২:২৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্যর হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের সঙ্গে অসভ্য আচরণ এবং দায় চাপানোর অপচেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সারজিস আলম বলেন, উদ্যানের নিরাপত্তা বা ব্যবস্থাপনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আওতায় নয়। বরং সেখানে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, হেনস্তা ইত্যাদি কাজ চলে বিভিন্ন প্রভাবশালী সংগঠন ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতায়।

বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘উদ্যানের গেট ও আশপাশে ভাসমান দোকানগুলো বসিয়েছে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন। এগুলো থেকে চাঁদা আদায় করা হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নয়, বরং ওইসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরিচালনা করে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘মাদক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও অবৈধ দোকান বসানোর মাধ্যমে যারা ক্যাম্পাসে পরিবেশ নষ্ট করেছে, তারাই এই হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ কেউ এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘টিএসসিকে ক্যাম্পাসের চা দোকানের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। প্রায় ৩০টি চা দোকান প্রতিদিন পুরো ঢাকা শহর থেকে হাজার হাজার বহিরাগতকে টেনে আনে, যার মধ্যে মাদকসেবীও থাকে। এতে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’

তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে। চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য ও অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নিতে গেলে ‘একটি গোষ্ঠী’ বাধা দেয়।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ, বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ ও টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে হবে।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। প্রশাসন যেন অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাণ হারাতে না হয়।’