ময়মনসিংহ , রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জাতি মূল্যায়ন করবে আমরা কী করতে পেরেছি, কী পারিনি বললেন ধর্ম উপদেষ্টা ট্রাম্প কানাডার ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ালেন চানখারপুলে ছয় হত্যা, আজ ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হাবিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণ, নির্বাচন কমিশনের সামনে আটক ১ নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বঙ্গোপসাগরে বাঁশবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় উল্টে গেল ভ্যান, ৩ শিক্ষার্থী নিহত পাবনায় জুলাই সনদ যেন প্রতারণার বস্তুতে পরিণত না হয় বললেন আখতার বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বললেন সাদিক রাজনৈতিক বিভেদে ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটলে জাতি ক্ষমা করবে না বললেন সালাহউদ্দিন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফিল্ডিং করছিলেন, আচমকা মাঠেই লুটিয়ে পড়েন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মৃত্যুদণ্ডের রায় ছিল বিচারের নামে অবিচার এটিএম আজহারের: আপিল বিভাগ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডকে ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বিচারের নামে অন্যতম অবিচার’ মন্তব্য করে তাকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, বাংলাদেশেসহ এই ভারতীয় উপমহাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা বদলে দেওয়া হয়েছিল, এটা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। দ্বিতীয়ত, আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ কোনো অ্যাসেসম্যান্ট ছাড়াই এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি ছিল বিচারের নামে অবিচার।

পরে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা মনে করি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্য বিজয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাভূত হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অতীতের অনেক রায় সম্পর্কে এ রায়ে অনেক পর্যবেক্ষণ থাকবে। আমরা মনে করি সরকারের উচিত হবে এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর একটি রিভিউ বোর্ড গঠন করে অতীতের রায়গুলোকে পুনর্বিবেচনা করা, যেন মৃত্যু পরবর্তীতে হলেও যাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, অবিচার করা হয়েছে, তাদের পরিবার, তাদের দল ও এ দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পেতে পারে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশের বিচার বিভাগে ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। এ রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, জামায়াতের ঢাকা উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, মাসুদ সাঈদী, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জাতি মূল্যায়ন করবে আমরা কী করতে পেরেছি, কী পারিনি বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

মৃত্যুদণ্ডের রায় ছিল বিচারের নামে অবিচার এটিএম আজহারের: আপিল বিভাগ

আপডেট সময় ১২:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডকে ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বিচারের নামে অন্যতম অবিচার’ মন্তব্য করে তাকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, বাংলাদেশেসহ এই ভারতীয় উপমহাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা বদলে দেওয়া হয়েছিল, এটা ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। দ্বিতীয়ত, আদালতের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ কোনো অ্যাসেসম্যান্ট ছাড়াই এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি ছিল বিচারের নামে অবিচার।

পরে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা মনে করি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্য বিজয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাভূত হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অতীতের অনেক রায় সম্পর্কে এ রায়ে অনেক পর্যবেক্ষণ থাকবে। আমরা মনে করি সরকারের উচিত হবে এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর একটি রিভিউ বোর্ড গঠন করে অতীতের রায়গুলোকে পুনর্বিবেচনা করা, যেন মৃত্যু পরবর্তীতে হলেও যাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, অবিচার করা হয়েছে, তাদের পরিবার, তাদের দল ও এ দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পেতে পারে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশের বিচার বিভাগে ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। এ রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, জামায়াতের ঢাকা উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, মাসুদ সাঈদী, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।