ময়মনসিংহ , বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

২ বছরের কারাদন্ড প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার। 

অধ্যাদেশ অনুযায়ী মিথ্যা, বিকৃত ও তথ্য গোপন করে চিকিৎসা, আর্থিক ও পুনর্বাসন সুবিধা দাবি বা গ্রহণ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এরূপ কর্মকাণ্ড করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।

অধ্যাদেশে বলা হয়, কোনও ব্যক্তি ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা যেকোনও শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করে তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।

এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে। এই অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নং ভি অব ১৮৯৮) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া, অধ্যাদেশে নিহত-আহতদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে। তা হলো, অতি গুরুতর আহত, গুরুতর আহত ও আহত।

অধ্যাদেশে জুলাই ‘শহীদ’ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণে নেয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেয়া হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি সরকারি গেজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা প্রকাশ করেছে তা এই অধ্যাদেশের অধীন প্রণীত ও প্রকাশিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

২ বছরের কারাদন্ড প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে

আপডেট সময় ১০:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার। 

অধ্যাদেশ অনুযায়ী মিথ্যা, বিকৃত ও তথ্য গোপন করে চিকিৎসা, আর্থিক ও পুনর্বাসন সুবিধা দাবি বা গ্রহণ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এরূপ কর্মকাণ্ড করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।

অধ্যাদেশে বলা হয়, কোনও ব্যক্তি ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা যেকোনও শ্রেণির আহত না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রদান, তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর কাগজ দাখিল করে নিজেকে ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্য বা আহত দাবি করে চিকিৎসা, আর্থিক, পুনর্বাসন সুবিধা দাবি অথবা গ্রহণ করে তাহলে তিনি এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।

এই আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হবে। এই অধ্যাদেশের অধীন সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার, আপিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ (অ্যাক্ট নং ভি অব ১৮৯৮) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া, অধ্যাদেশে নিহত-আহতদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদ’ এবং আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে। তা হলো, অতি গুরুতর আহত, গুরুতর আহত ও আহত।

অধ্যাদেশে জুলাই ‘শহীদ’ পরিবার এবং আহতদের কল্যাণে নেয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি দেয়া হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি সরকারি গেজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা প্রকাশ করেছে তা এই অধ্যাদেশের অধীন প্রণীত ও প্রকাশিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।