ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জুলাই আন্দেলন : ভিডিও বার্তা আদায় জোরপূর্বক, এরপর কী ঘটেছিল

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

জুলাই আন্দোলন ঘিরে গতবছর আজকের দিনে (২৮ জুলাই) ডিবি হারুনের ‘ভাতের হোটেল’ খ্যাত রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ভিডিও বার্তায় ছাত্র আন্দোলনের সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

অন্যদিকে সমন্বয়কদের জিম্মি করে বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে দাবি করে ২৯ জুলাই সারা দেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের ডাক দেন সমন্বয়ক আবদুল কাদের।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ও ছাত্রলীগের আক্রমণে নিহত শত শত শহীদের আত্মত্যাগকে তিরস্কার করে ডিবি কার্যালয়ে বন্দুকের নলের মুখে সমন্বয়কদের মাধ্যমে স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি আদায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দাবি আদায়ে আমরা অবিচল ছিলাম, রয়েছি এবং থাকব। স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি দিয়ে ছাত্রসমাজের দাবিগুলোর প্রতি সরকার চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ছাত্রসমাজ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারে না।’

লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় নাহিদ ইসলামের পরা লুঙ্গি আড়াল করতে রাখা ছিল সংবাদপত্র। এ সময় সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নুসরাত তাবাসসুম ও সহ-সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

এদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকেও তুলে নিয়ে যায় ডিবি। টানা ১০ দিন বন্ধ রাখার পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।

একই দিন আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে জোরপূর্বক গণভবনে এনে তাদের হাতে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। আন্দোলন দমনে অব্যাহত ছিল পুলিশের ব্লক রেইড অভিযান। ২৮ জুলাই গ্রেপ্তারের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই আন্দেলন : ভিডিও বার্তা আদায় জোরপূর্বক, এরপর কী ঘটেছিল

আপডেট সময় ১০:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

জুলাই আন্দোলন ঘিরে গতবছর আজকের দিনে (২৮ জুলাই) ডিবি হারুনের ‘ভাতের হোটেল’ খ্যাত রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ভিডিও বার্তায় ছাত্র আন্দোলনের সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

অন্যদিকে সমন্বয়কদের জিম্মি করে বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে দাবি করে ২৯ জুলাই সারা দেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের ডাক দেন সমন্বয়ক আবদুল কাদের।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ও ছাত্রলীগের আক্রমণে নিহত শত শত শহীদের আত্মত্যাগকে তিরস্কার করে ডিবি কার্যালয়ে বন্দুকের নলের মুখে সমন্বয়কদের মাধ্যমে স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি আদায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দাবি আদায়ে আমরা অবিচল ছিলাম, রয়েছি এবং থাকব। স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি দিয়ে ছাত্রসমাজের দাবিগুলোর প্রতি সরকার চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ছাত্রসমাজ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারে না।’

লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় নাহিদ ইসলামের পরা লুঙ্গি আড়াল করতে রাখা ছিল সংবাদপত্র। এ সময় সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নুসরাত তাবাসসুম ও সহ-সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

এদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকেও তুলে নিয়ে যায় ডিবি। টানা ১০ দিন বন্ধ রাখার পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।

একই দিন আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে জোরপূর্বক গণভবনে এনে তাদের হাতে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। আন্দোলন দমনে অব্যাহত ছিল পুলিশের ব্লক রেইড অভিযান। ২৮ জুলাই গ্রেপ্তারের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়।