অন্যদিকে সমন্বয়কদের জিম্মি করে বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে দাবি করে ২৯ জুলাই সারা দেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের ডাক দেন সমন্বয়ক আবদুল কাদের।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ও ছাত্রলীগের আক্রমণে নিহত শত শত শহীদের আত্মত্যাগকে তিরস্কার করে ডিবি কার্যালয়ে বন্দুকের নলের মুখে সমন্বয়কদের মাধ্যমে স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি আদায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দাবি আদায়ে আমরা অবিচল ছিলাম, রয়েছি এবং থাকব। স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি দিয়ে ছাত্রসমাজের দাবিগুলোর প্রতি সরকার চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ছাত্রসমাজ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারে না।’
লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় নাহিদ ইসলামের পরা লুঙ্গি আড়াল করতে রাখা ছিল সংবাদপত্র। এ সময় সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নুসরাত তাবাসসুম ও সহ-সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
এদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকেও তুলে নিয়ে যায় ডিবি। টানা ১০ দিন বন্ধ রাখার পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।
একই দিন আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে জোরপূর্বক গণভবনে এনে তাদের হাতে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। আন্দোলন দমনে অব্যাহত ছিল পুলিশের ব্লক রেইড অভিযান। ২৮ জুলাই গ্রেপ্তারের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়।