ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ডা. শফিকুর বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়, শেখ হাসিনা ছিল ভারতের সেবাদাসী আসিফ মাহমুদের কঠোর হুঁশিয়ারি সচিবালয়ের আগুনের ঘটনায় সচিবালয়ের একটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন আগুনের পেছনে নাশকতা আছে কি না জানতে কমিটি করা হবে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে এই আ”গু”ন, সেই সময় আবার ফারের এক কর্মীকে চাপা দিয়ে পালিয়েছে একটি ট্রাক ময়মনসিংহের ভালুকায় বাস চাপায় আলমগীর হোসেন নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। পালালেন দিনাজপুরে আত্মগোপনে থাকা ময়মনসিংহের সাবেক এমপি তুহিন…. কি কারণে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় বাগেরহাট থেকে ইরফান গ্রেফতার গোপন খবরের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা ফরহাদ বয়াতি গ্রেপ্তার
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আতঙ্কে চরবাসী চাঁদপুরে বেড়েছে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১০:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন নিউজ-

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে উপজেলার মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধের দশানী এলাকা থেকে একটি চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা।এর আগে ২৮ মে এখলাসপুর ইউনিয়নের নয়ানগর বটতলা এলাকা থেকে ২টি সাপটিকে ধরা হয়। ১৬ মে একই ইউনিয়নের বোরোচর এলাকা থেকে একই প্রজাতির আরেকটি সাপ উদ্ধার করা হয়।

গত তিন মাসে অন্তত দশটি রাসেলস ভাইপারের দেখা মিলেছে মতলব উপজেলায়।স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম চরাঞ্চল বোরোচরে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কিন্তু এবার পূর্ব পাড়ে দেখা মিলল রাসেলস ভাইপার সাপের। ফলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলের বসবাস করা মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। একের পর এক বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। গত তিন মাসে অন্তত দশটি রাসেলস ভাইপারের দেখা মিলেছে এ উপজেলায়।
দশানী গ্রামের মাসুদ রানা জানান, বেড়িবাঁধের পাশে বিষধর রাসেলস ভাইপার দেখতে পেয়ে সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলেছে। এখন এলাকার মানুষ ভয়ে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করতে পারছে না।

এখলাসপুর এলাকার হুমায়ুন মিয়াজি বলেন, ‘গত ২৮ মে জোয়ারে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে রাসেল ভাইপার সাপটি বালুর মাঠে চলে আসে, সাপটি যখন চলে যাচ্ছিল তখন আমি লোকজন ডাক দিলে তারা এসে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
বোরচর এলাকার কৃষক সুমন বেপারি বলেন, ‘গত ১৬ মে আমার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখি ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলি। পড়ে দেখি এটি একটি বিষধর রাসেলস ভাইপার। ফেব্রুয়ারি মাসে গফুর বাদশার আলু ক্ষেতে আরও দুইটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা গেছে।’

এ বিষয়ে এখলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি, বেশ কয়েকমাস ধরে আমাদের ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়ছে। আমরা এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি।’
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii) ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত একটি অন্যতম বিষধর সাপ।
আতঙ্কে চরবাসী চাঁদপুরে বেড়েছে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব
এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী (Solenoglyphous) বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।’

সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে থাকে । একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডা. শফিকুর বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়, শেখ হাসিনা ছিল ভারতের সেবাদাসী

আতঙ্কে চরবাসী চাঁদপুরে বেড়েছে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব

আপডেট সময় ১০:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

অনলাইন নিউজ-

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে উপজেলার মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধের দশানী এলাকা থেকে একটি চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা।এর আগে ২৮ মে এখলাসপুর ইউনিয়নের নয়ানগর বটতলা এলাকা থেকে ২টি সাপটিকে ধরা হয়। ১৬ মে একই ইউনিয়নের বোরোচর এলাকা থেকে একই প্রজাতির আরেকটি সাপ উদ্ধার করা হয়।

গত তিন মাসে অন্তত দশটি রাসেলস ভাইপারের দেখা মিলেছে মতলব উপজেলায়।স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম চরাঞ্চল বোরোচরে সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। কিন্তু এবার পূর্ব পাড়ে দেখা মিলল রাসেলস ভাইপার সাপের। ফলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চলের বসবাস করা মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। একের পর এক বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের দেখা মিলছে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। গত তিন মাসে অন্তত দশটি রাসেলস ভাইপারের দেখা মিলেছে এ উপজেলায়।
দশানী গ্রামের মাসুদ রানা জানান, বেড়িবাঁধের পাশে বিষধর রাসেলস ভাইপার দেখতে পেয়ে সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলেছে। এখন এলাকার মানুষ ভয়ে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করতে পারছে না।

এখলাসপুর এলাকার হুমায়ুন মিয়াজি বলেন, ‘গত ২৮ মে জোয়ারে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে রাসেল ভাইপার সাপটি বালুর মাঠে চলে আসে, সাপটি যখন চলে যাচ্ছিল তখন আমি লোকজন ডাক দিলে তারা এসে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
বোরচর এলাকার কৃষক সুমন বেপারি বলেন, ‘গত ১৬ মে আমার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখি ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলি। পড়ে দেখি এটি একটি বিষধর রাসেলস ভাইপার। ফেব্রুয়ারি মাসে গফুর বাদশার আলু ক্ষেতে আরও দুইটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখা গেছে।’

এ বিষয়ে এখলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি, বেশ কয়েকমাস ধরে আমাদের ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়ছে। আমরা এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি।’
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii) ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত একটি অন্যতম বিষধর সাপ।
আতঙ্কে চরবাসী চাঁদপুরে বেড়েছে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব
এই সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী (Solenoglyphous) বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।’

সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে থাকে । একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।