শুক্রবার (২২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর কঙ্কাল চুরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তবে দু’একদিন আগ থেকেই কবরস্থান থেকে একে একে সাতটি কঙ্কাল সরিয়ে নেওয়া হয় বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। মূলত নগর কয়ড়া ও কৃষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কেউ মারা গেলে ওই কবরস্থানে দাফন করা হতো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে কবরস্থানে এসে কবর জিয়ারত করেন। গত শুক্রবারও তারা কবর জেয়ারতে এসে কয়েকটি কবরের মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই গ্রামের মানুষ সেখানে ভিড় করেন। এক পর্যায়ে লিটন নামে এক যুবক তল্লাশি করে দেখেন তারা বাবার কবরে মরদেহ (কঙ্কাল) নেই। এরপর এলাকাবাসী কবরস্থানজুড়ে তল্লাশি করে ৬টি কবরের একই অবস্থা দেখতে পান। তারা ধারণা করছে গত কয়েকদিনে নগরকয়ড়া ও কয়ড়া কৃষ্টপুর কবরস্থান থেকে এসব কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
চুরি হওয়া কঙ্কালগুলোর মধ্যে রয়েছেন-কৃষ্টপুর কয়ড়া গ্রামের মৃত মোসলেম মন্ডল, হারুনর রশীদ, রুবেল সরকার, কয়ড়া চরপাড়া গ্রামের মৃত মনু সরকার, রহমত সরকার, সানোয়ার শেখ এবং একই গ্রামের নুরুর আম্মা (যার নাম জানা যায়নি)।
কয়ড়া গ্রামের লিটন হোসেন বলেন, সকালে নামাজ শেষে আমি বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দেখি কবর খোঁড়া। পরে জানতে পারি একসঙ্গে সাতটি কবর থেকে কঙ্কাল উধাও। আমার বাবার কবর প্লাস্টিকের নেট দিয়ে ঘেরা ছিল, কিন্তু সেই নেট কেটে কঙ্কাল তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কেউ কঙ্কাল চুরি করে থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।