হকি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী আবু জাফর তপন জাতীয় হকি খেলোয়াড় নাঈম উদ্দিনকে বাস্টার্ড বলে গাল দেওয়ায় হকি খেলোয়াড়রা একজোট হয়েছে। তারা তপনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। একজন খেলোয়াড় অন্যায় করলে তাকে শৃঙ্খলার আওতায় আনা যায়। কিন্তু বাস্টার্ড বলে গাল দেওয়াটা ক্ষমা করা যায় না। তপন নাকি নিজেই পরে নাঈমের কাছে স্বীকার করে বলেছেন এটা স্লিপ অব টাং।’ কিন্তু এটা মানতে রাজি না খেলোয়াড়রা। তারা গতকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে তপনের শাস্তি দাবি করেছেন।
বিকালে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল হকি স্টেডিয়ামে। কিন্তু পাশে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৭তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে ব্যস্ত ছিল সংবাদমাধ্যম। খেলোয়াড় হাসান জুবায়ের নিলয়, নাঈম উদ্দিন, পুস্কর খিসা মিমো, আবেদ উদ্দিন, আলামিন মিয়া, হকি আম্পায়ার অনিক প্রমুখ অ্যাথলেটিস প্রাঙ্গণে হাজির হন। তপনের বিষয়টি তারা অন্য খেলোয়াড়দের জানিয়েছেন। সবাই এক জোট হচ্ছেন। মিমো-নাঈম জানিয়েছেন, তারা বিচার চান ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে।
খেলোয়াড়রা খুব ক্ষিপ্ত। তাদের জন্ম নিয়ে কথা বলেছেন তপন। হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান বিষয়টি ঠান্ডাভাবে মিটিয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তপনের এমন আচরণে মুখ লুকানোর জায়গা নেই। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত হকি খেলোয়াড় ফেডারেশনের কর্মকর্তা হোসেন ঈমাম শান্টা, বায়েজিদ হায়দার, আরেক রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত সাবেক হকি খেলোয়াড় কাওসার আলীসহ অন্যরা। তারা হতবাক হয়েছেন। কর্মকর্তা হয়ে একজন খেলোয়াড়কে বাস্টার্ড বলে ফেললেন কীভাবে।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গঠিত সার্চ কমিটি হকি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিল। তারাই তপনের মতো লোককে ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম কাল ঢাকা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন সামার অ্যাথলেটিকসের অনুষ্ঠানে। সেখানে সংবাদমাধ্যমও কথা বলেন আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তপনের কাণ্ড শুনে আমিনুল ইসলাম মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছিলেন না।
তপনকাণ্ডের কথা শুনে আমিনুল ইসলাম নিশ্চুপ। তপনকে আজীবন নিষিদ্ধ করার কথাও শুনতে হয়েছে আমিনুল ইসলামকে। ইন্দোনেশিয়ায় খেলতে গিয়ে ম্যানেজার তপন কী কী করেছেন তার আমলনামা শুনেছেন আমিনুল ইসলাম। তবুও তিনি কোনো কথা বলেননি। চুপ করে ছিলেন, চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছেন আমিনুল ইসলাম।