ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

‘জয় বাংলা’ স্লোগান আদালতে নেওয়ার সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ০৯:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার (২৭ আগস্ট) থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন। এ সময় কয়েকজন তরুণকেও তার সঙ্গে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে গণ-অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলার তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরহাদকে পিঠমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে কুমারখালী থানা থেকে বের করা হয়। এ সময় তিনি গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকবার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। এরপর পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তাকে কুষ্টিয়া আদালতে নেওয়া হয়। বেলা একটার দিকে আদালত চত্বরে গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে আবার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন ফরহাদ। এ সময় আশপাশ থেকে কিছু তরুণ তার সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। স্লোগান দিতে দিতে ফরহাদ নিচতলার লিফটের সামনে চলে যান। তবে তার সঙ্গে স্লোগান দেওয়া অন্য তরুণেরা দৌড়ে সেখান থেকে সরে যান।থানা ও আদালত চত্বরে স্লোগান দেওয়ার একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, কুমারখালী থানা থেকে বের হওয়ার সময় ফরহাদ বলতে থাকেন, ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ এরপর আদালত চত্বরে নেমে একইভাবে স্লোগান দেন। এ সময় আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজন তার সঙ্গে স্লোগান দিতে দিতে আদালত ভবনের নিচতলায় প্রবেশ করে।

কুষ্টিয়া আদালত পুলিশের ওসি জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তিন থেকে চারজন স্লোগান দিয়েছেন। তবে তারা পালিয়ে গেছেন। তারা কারা, শনাক্ত করা যায়নি। আসামি ফরহাদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও কিছু বলতে পারেননি। পরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, ডিএমপি পুলিশের সহযোগিতায় ডিবি পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় থেকে পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পাপ্পুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘জয় বাংলা’ স্লোগান আদালতে নেওয়ার সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার

আপডেট সময় ০৯:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার (২৭ আগস্ট) থানা থেকে আদালতে নেওয়ার সময় তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন। এ সময় কয়েকজন তরুণকেও তার সঙ্গে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে গণ-অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলার তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরহাদকে পিঠমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে কুমারখালী থানা থেকে বের করা হয়। এ সময় তিনি গাড়িতে ওঠার সময় কয়েকবার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। এরপর পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তাকে কুষ্টিয়া আদালতে নেওয়া হয়। বেলা একটার দিকে আদালত চত্বরে গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে আবার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন ফরহাদ। এ সময় আশপাশ থেকে কিছু তরুণ তার সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। স্লোগান দিতে দিতে ফরহাদ নিচতলার লিফটের সামনে চলে যান। তবে তার সঙ্গে স্লোগান দেওয়া অন্য তরুণেরা দৌড়ে সেখান থেকে সরে যান।থানা ও আদালত চত্বরে স্লোগান দেওয়ার একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, কুমারখালী থানা থেকে বের হওয়ার সময় ফরহাদ বলতে থাকেন, ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ এরপর আদালত চত্বরে নেমে একইভাবে স্লোগান দেন। এ সময় আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজন তার সঙ্গে স্লোগান দিতে দিতে আদালত ভবনের নিচতলায় প্রবেশ করে।

কুষ্টিয়া আদালত পুলিশের ওসি জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তিন থেকে চারজন স্লোগান দিয়েছেন। তবে তারা পালিয়ে গেছেন। তারা কারা, শনাক্ত করা যায়নি। আসামি ফরহাদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনিও কিছু বলতে পারেননি। পরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, ডিএমপি পুলিশের সহযোগিতায় ডিবি পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় থেকে পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পাপ্পুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।