ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে
মাটি ও মানুষ ডেস্ক:

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লিগ্যাসি আজ পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে। তাঁর তৃতীয় প্রজন্ম টিউলিপ সিদ্দিক সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের মাতৃভূমি খ্যাত ব্রিটেনের পার্লামেন্টের চারবার নির্বাচিত সদস্য নির্বাচিত হয়ে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। এই গৌরব শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবারের নয়- এই গৌরব সমগ্র বাঙালি জাতির- বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ প্রথম বাঙালি ও বাংলাদেশী যিনি বাংলাদেশের বাইরে কোন রাষ্ট্রের মন্ত্রী হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার
১৯৬৯ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তৎকালীন সময়ের খ্যাতিমান ব্রিটিশ আইনজীবী স্যার টমাস উইলিয়ামস এমপি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আইনী লড়াই করেছিলেন। তার প্রতিদান হিসেবে পরের বছর ১৯৭০ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে স্যার টমাস উইলিয়ামসের সংসদীয় আসনে অবস্থানরত সমগ্র বাঙালি ও ভারতীয় কমিউনিটি তথা গণতন্ত্রকামী মানুষ তাকে বিপুলভাবে নির্বাচিত করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সমকালীন যুক্তরাজ্যের দুই প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হীথ এবং হ্যারল্ড উইলসন এর সাথে নিবিড় বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন যারা যুক্তরাজ্যের প্রধান দুই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া বেশ কিছু ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীর সাথে বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের‌‌ ভূমিকা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু যুক্তরাজ্য হয়ে দেশে ফেরার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। ১৯৭৫ এ সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার পর বৃটেনের অনেক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিল – হত্যার বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহল এটি সবসময়ই বিশ্বাস করতেন যে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন শেখ হাসিনার হাত দিয়েই হবে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে একুশ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করার পর ঢাকায় সফররত প্রবীণ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ স্যার পিটার শোর এর সাক্ষাৎকার শুনে আমার এটিই মনে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্ম টিউলিপ সিদ্দিকের ব্রিটিশ রাজনীতিতে এই শক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে ব্রিটেনে তাঁর মর্যাদা ও‌ গুরুত্ব এবং তাঁর প্রতি ব্রিটিশ জনগণ ও রাজনীতিবিদদের ভালোবাসা। এটি বঙ্গবন্ধুর লিগ্যাসি- রক্তের উত্তরাধিকার।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার

আপডেট সময় ০১:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
মাটি ও মানুষ ডেস্ক:

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লিগ্যাসি আজ পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে। তাঁর তৃতীয় প্রজন্ম টিউলিপ সিদ্দিক সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের মাতৃভূমি খ্যাত ব্রিটেনের পার্লামেন্টের চারবার নির্বাচিত সদস্য নির্বাচিত হয়ে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। এই গৌরব শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবারের নয়- এই গৌরব সমগ্র বাঙালি জাতির- বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ প্রথম বাঙালি ও বাংলাদেশী যিনি বাংলাদেশের বাইরে কোন রাষ্ট্রের মন্ত্রী হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার
১৯৬৯ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তৎকালীন সময়ের খ্যাতিমান ব্রিটিশ আইনজীবী স্যার টমাস উইলিয়ামস এমপি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আইনী লড়াই করেছিলেন। তার প্রতিদান হিসেবে পরের বছর ১৯৭০ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে স্যার টমাস উইলিয়ামসের সংসদীয় আসনে অবস্থানরত সমগ্র বাঙালি ও ভারতীয় কমিউনিটি তথা গণতন্ত্রকামী মানুষ তাকে বিপুলভাবে নির্বাচিত করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সমকালীন যুক্তরাজ্যের দুই প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হীথ এবং হ্যারল্ড উইলসন এর সাথে নিবিড় বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন যারা যুক্তরাজ্যের প্রধান দুই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া বেশ কিছু ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীর সাথে বঙ্গবন্ধুর নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের‌‌ ভূমিকা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু যুক্তরাজ্য হয়ে দেশে ফেরার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। ১৯৭৫ এ সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার পর বৃটেনের অনেক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিল – হত্যার বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহল এটি সবসময়ই বিশ্বাস করতেন যে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন শেখ হাসিনার হাত দিয়েই হবে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে একুশ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করার পর ঢাকায় সফররত প্রবীণ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ স্যার পিটার শোর এর সাক্ষাৎকার শুনে আমার এটিই মনে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্ম টিউলিপ সিদ্দিকের ব্রিটিশ রাজনীতিতে এই শক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে ব্রিটেনে তাঁর মর্যাদা ও‌ গুরুত্ব এবং তাঁর প্রতি ব্রিটিশ জনগণ ও রাজনীতিবিদদের ভালোবাসা। এটি বঙ্গবন্ধুর লিগ্যাসি- রক্তের উত্তরাধিকার।