গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার আসাদপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আসাদপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মো. ইব্রাহিম (২৪) এবং প্রয়াত মো. আনু মিয়ার ছেলে মো. শহিদুল্লাহ (৩৩)। আসাদপুরে ওই দুজনের দোকান আছে।
এ বিষয়ে হোমনার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে পৃথক চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যে চারটি মাজারে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো আসাদপুর গ্রামের আলেক শাহের বাড়িতে অবস্থিত তার বাবা কফিল উদ্দিন শাহের মাজার, একই গ্রামের আবদু শাহের মাজার, কালাই (কানু) শাহের মাজার ও হাওয়ালি শাহের মাজার।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
এদিকে, হামলার পর থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপজেলার মাজারগুলোতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।