ময়মনসিংহ , শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান আটক কোনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না বললেন রিজভী উপদেষ্টাদের কেউ কেউ একটা দলকে ক্ষমতায় নিতে গোপন সম্পর্ক করছে বললেন গোলাম পরওয়ার বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে মাটিতে ছুড়ে ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী ক্ষমতার বদল যেন দুর্নীতির পালাবদল না হয় বললেন বদিউল আলম মজুমদার প্রধানমন্ত্রী বা নির্বাহী ক্ষমতা কতটা সীমিত করা যাবে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বললেন মান্না সেফ এক্সিট নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলাপ হয়নি বললেন দুদু সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সাংবাদিকদের সাহায্য নিতেই হবে ইসিকে বললেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত নির্বাচন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণের কথা বলতে হবে বললেন আমীর খসরু ভোটগ্রহণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নিয়োগ বললেন সিইসি
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

দেশে গ্যাস সংকটের মূলে রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীরা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা

দেশের গ্যাস সংকটের জন্য একশ্রেণির রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, গ্যাস না থাকার কথা জেনেও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পকারখানায় সংযোগ দেওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

গত শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই সক্ষমতা পূরণে প্রয়োজনীয় গ্যাস সংগ্রহের কথা ভাবা হয়নি। বেসরকারি খাতেও অনেক শিল্পকে গ্যাস দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গ্যাস নেই জেনেও লাইন দেওয়া হয়েছে… এগুলো অন্যায়ভাবে, দুর্নীতির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এর ফলেই আজ আমরা এই সংকটে পড়েছি।’

সংকট থেকে উত্তরণে সরকারের চেষ্টার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দুটি উপায়ে চেষ্টা চলছে। একদিকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়ে সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, অন্যদিকে স্থলভাগে বাপেক্সের মাধ্যমে অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কমে যাচ্ছে, সেখানে আমরা নতুন করে মাত্র ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেয়েছি। তবে আমরা আশাবাদী যে আরও গ্যাস পাওয়া যাবে, বিশেষ করে ভোলায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাধ্য হয়ে এলএনজি আমদানি বাড়াতে হচ্ছে। তা না হলে শিল্পকারখানা, রপ্তানি সবকিছু থেমে যাবে।’ তবে আমদানির সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, গত বছর ১০৮ কার্গো এলএনজি আনা হয়েছে। দেশের সক্ষমতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ ১১৫ কার্গো আনা সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) একটি বড় সমাধান হতে পারে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এলপিজি আমদানি তুলনামূলক সহজ। কিন্তু এর দাম একটি বড় সমস্যা। দাম কমাতে হবে।

এই খাত বেসরকারি খাতনির্ভর হলেও দাম অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এখনো ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি, যা কখনো কখনো ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকাও হয়ে যায়। কিন্তু এটি ১ হাজারের নিচে হওয়া উচিত।’

নির্ধারিত দাম না মানার বিষয়টি তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা জানান তিনি। শিল্পক্ষেত্রেও এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে খরচ কমানোর ওপর জোর দেন জ্বালানি উপদেষ্টা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান আটক

দেশে গ্যাস সংকটের মূলে রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীরা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০১:৩৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

দেশের গ্যাস সংকটের জন্য একশ্রেণির রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, গ্যাস না থাকার কথা জেনেও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পকারখানায় সংযোগ দেওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

গত শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই সক্ষমতা পূরণে প্রয়োজনীয় গ্যাস সংগ্রহের কথা ভাবা হয়নি। বেসরকারি খাতেও অনেক শিল্পকে গ্যাস দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গ্যাস নেই জেনেও লাইন দেওয়া হয়েছে… এগুলো অন্যায়ভাবে, দুর্নীতির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। এর ফলেই আজ আমরা এই সংকটে পড়েছি।’

সংকট থেকে উত্তরণে সরকারের চেষ্টার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দুটি উপায়ে চেষ্টা চলছে। একদিকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়ে সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, অন্যদিকে স্থলভাগে বাপেক্সের মাধ্যমে অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কমে যাচ্ছে, সেখানে আমরা নতুন করে মাত্র ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেয়েছি। তবে আমরা আশাবাদী যে আরও গ্যাস পাওয়া যাবে, বিশেষ করে ভোলায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাধ্য হয়ে এলএনজি আমদানি বাড়াতে হচ্ছে। তা না হলে শিল্পকারখানা, রপ্তানি সবকিছু থেমে যাবে।’ তবে আমদানির সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, গত বছর ১০৮ কার্গো এলএনজি আনা হয়েছে। দেশের সক্ষমতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ ১১৫ কার্গো আনা সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) একটি বড় সমাধান হতে পারে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এলপিজি আমদানি তুলনামূলক সহজ। কিন্তু এর দাম একটি বড় সমস্যা। দাম কমাতে হবে।

এই খাত বেসরকারি খাতনির্ভর হলেও দাম অনেক বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এখনো ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি, যা কখনো কখনো ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকাও হয়ে যায়। কিন্তু এটি ১ হাজারের নিচে হওয়া উচিত।’

নির্ধারিত দাম না মানার বিষয়টি তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা জানান তিনি। শিল্পক্ষেত্রেও এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে খরচ কমানোর ওপর জোর দেন জ্বালানি উপদেষ্টা।