ময়মনসিংহ , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন সচিবকে বদলি তিন মন্ত্রণালয়ের কামাল উদ্দিন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন বিগত তিন নির্বাচনের কেউ এবার দায়িত্বে থাকবেন না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা রয়েছে ট্রাইব্যুনালের বললেন তাজুল ইসলাম কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ কুমিল্লা সীমান্তে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পিআর পদ্ধতির নামে আন্দোলন চলছে বললেন মির্জা ফখরুল পাল্টাপাল্টি হামলার পর আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ৭ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার ঢাকায় সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছিলেন বললেন জামায়াত আমির প্রধান উপদেষ্টা রোমের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিগত তিন নির্বাচনের কেউ এবার দায়িত্বে থাকবেন না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো দায়িত্বে রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যথাসম্ভব তাদের দায়িত্ব দেওয়া থেকে সরকার বিরত থাকবে।’

রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মাঠপর্যায়ের সব প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তাকে—জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অফিসার ইনচার্জদের (ওসি)—প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২৮ ব্যাচে তিন দিন মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ দেশজুড়ে ১৩০ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুটি ব্যাচের ১৩ হাজার সদস্য প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া, এবারের নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ৫ লাখ ৮৫ হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে—এর মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার অস্ত্রসহ ও ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। আনসার ব্যাটালিয়নের ৩ হাজার ১৫৭ সদস্য নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ১ হাজার ১০০ প্লাটুনে প্রায় ৩৩ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, যাদের ৬০ শতাংশ ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি প্রশিক্ষণ শেষ হবে। এছাড়া, নির্বাচনে প্রায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল আগের তুলনায় অনেক কমেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন শান্ত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আছে। শারদীয় দুর্গাপূজা বিঘ্নিত করার জন্য কিছু ফ্যাসিস্ট ও তাদের প্ররোচনায় থাকা বুদ্ধিজীবীরা ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছিল, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তিন সচিবকে বদলি তিন মন্ত্রণালয়ের

বিগত তিন নির্বাচনের কেউ এবার দায়িত্বে থাকবেন না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো দায়িত্বে রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যথাসম্ভব তাদের দায়িত্ব দেওয়া থেকে সরকার বিরত থাকবে।’

রোববার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মাঠপর্যায়ের সব প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তাকে—জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অফিসার ইনচার্জদের (ওসি)—প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২৮ ব্যাচে তিন দিন মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ দেশজুড়ে ১৩০ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুটি ব্যাচের ১৩ হাজার সদস্য প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া, এবারের নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ৫ লাখ ৮৫ হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে—এর মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার অস্ত্রসহ ও ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। আনসার ব্যাটালিয়নের ৩ হাজার ১৫৭ সদস্য নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ১ হাজার ১০০ প্লাটুনে প্রায় ৩৩ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, যাদের ৬০ শতাংশ ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি প্রশিক্ষণ শেষ হবে। এছাড়া, নির্বাচনে প্রায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল আগের তুলনায় অনেক কমেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন শান্ত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আছে। শারদীয় দুর্গাপূজা বিঘ্নিত করার জন্য কিছু ফ্যাসিস্ট ও তাদের প্ররোচনায় থাকা বুদ্ধিজীবীরা ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছিল, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়েছে।’