ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

দেশ কোথায় যাচ্ছে বললেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

দেশ কোথায় যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনের পর গণপরিষদ, সংবিধান, এটা করো, সেটা করো অনেক বিষয় সামনে আসছে। এগুলো তো তখন আন্দোলনে ছিল না। এগুলো পরে এনে একটা জটিল-কুটিল একটা অবস্থা করা হচ্ছে, যেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন।

তৃতীয় মাত্রার একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার শামীম বলেন, ‘একটি ঐক্যমত কমিশন তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এর মুখ্য দায়িত্ব জটিলতা সৃষ্টি করা। জটিলতা কমিশন হয়ে যাচ্ছে। এখন যেটা দরকার, বাংলাদেশে একটা কেয়ারটেকার গভমেন্টের প্রভিশন চলে আসতেছে।

কেয়ারটেকার সরকারের প্রভিশন আসলে এই সরকার ভোট নিতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে একটা লিগ্যাল জুরিসপ্রুডেনশিয়াল ভ্যালুয়েশন দরকার।’

তিনি বলেন, ‘এই বর্তমান সরকার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত কিনা, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার কেয়ারটেকার সরকার ফিরে আসলে বর্তমান সরকারের আন্ডারে ভোটটা বৈধ হবে কিনা, এটাও একটা প্রশ্ন। যখন কেয়ারটেকার সরকারের বিষয়টি ছিল না তখন অন্তর্বর্তী সরকার ছিল।

যখন কেয়ারটেকার সরকার চলে আসলো তখন আপনাকে ভোটটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই করতে হবে। আর কোনো বিকল্প নাই।’

‘আরেকটা হচ্ছে যদিও বিপ্লব পরবর্তী সময় অনেক এক্সেপশন মানা হয়; তবে সংবিধানে কোথাও ছয় মাসের কোনো এক্সেপশন নাই। ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন হতে হবে। এর বাইরে কোনো এক্সেপশন করা হয় নাই।

এটা তো এই সরকারকে বোঝা উচিত ছিল।’

তিনি বলেন, ‘দেশটা সিঙ্গাপুর করতে পারলে, মালয়েশিয়া করতে পারলে, হংকং করতে পারলে আপনি ২০ বছর ক্ষমতায় থাকেন, কোনো অসুবিধা নাই। যখন দেশটাকে আপনি পাকিস্তান করছেন, আফগানিস্তান করছেন, দেশের মানুষ সুখী না, সুশাসন নাই, তখন আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন দেওয়া উচিত ছিল এবং সেটা সবচেয়ে সেফ অ্যান্ড ডিগনিফাইড এক্সিট হতো।’

‘এখন তো এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এখান থেকে একটা পিসফুল ট্রানজিশন অলমোস্ট ইমপসিবল হয়ে যাচ্ছে এবং এই অলমোস্ট ইমপসিবল জিনিসটা কিভাবে পসিবল হবে? আমরা অন্তত রাজনীতিবিদরা তার কোনো ওয়ে আউট দেখি না। সেক্ষেত্রে বিএনপির ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশ কোথায় যাচ্ছে বললেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার

আপডেট সময় ১২:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

দেশ কোথায় যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনের পর গণপরিষদ, সংবিধান, এটা করো, সেটা করো অনেক বিষয় সামনে আসছে। এগুলো তো তখন আন্দোলনে ছিল না। এগুলো পরে এনে একটা জটিল-কুটিল একটা অবস্থা করা হচ্ছে, যেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন।

তৃতীয় মাত্রার একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার শামীম বলেন, ‘একটি ঐক্যমত কমিশন তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এর মুখ্য দায়িত্ব জটিলতা সৃষ্টি করা। জটিলতা কমিশন হয়ে যাচ্ছে। এখন যেটা দরকার, বাংলাদেশে একটা কেয়ারটেকার গভমেন্টের প্রভিশন চলে আসতেছে।

কেয়ারটেকার সরকারের প্রভিশন আসলে এই সরকার ভোট নিতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে একটা লিগ্যাল জুরিসপ্রুডেনশিয়াল ভ্যালুয়েশন দরকার।’

তিনি বলেন, ‘এই বর্তমান সরকার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত কিনা, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার কেয়ারটেকার সরকার ফিরে আসলে বর্তমান সরকারের আন্ডারে ভোটটা বৈধ হবে কিনা, এটাও একটা প্রশ্ন। যখন কেয়ারটেকার সরকারের বিষয়টি ছিল না তখন অন্তর্বর্তী সরকার ছিল।

যখন কেয়ারটেকার সরকার চলে আসলো তখন আপনাকে ভোটটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই করতে হবে। আর কোনো বিকল্প নাই।’

‘আরেকটা হচ্ছে যদিও বিপ্লব পরবর্তী সময় অনেক এক্সেপশন মানা হয়; তবে সংবিধানে কোথাও ছয় মাসের কোনো এক্সেপশন নাই। ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন হতে হবে। এর বাইরে কোনো এক্সেপশন করা হয় নাই।

এটা তো এই সরকারকে বোঝা উচিত ছিল।’

তিনি বলেন, ‘দেশটা সিঙ্গাপুর করতে পারলে, মালয়েশিয়া করতে পারলে, হংকং করতে পারলে আপনি ২০ বছর ক্ষমতায় থাকেন, কোনো অসুবিধা নাই। যখন দেশটাকে আপনি পাকিস্তান করছেন, আফগানিস্তান করছেন, দেশের মানুষ সুখী না, সুশাসন নাই, তখন আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন দেওয়া উচিত ছিল এবং সেটা সবচেয়ে সেফ অ্যান্ড ডিগনিফাইড এক্সিট হতো।’

‘এখন তো এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এখান থেকে একটা পিসফুল ট্রানজিশন অলমোস্ট ইমপসিবল হয়ে যাচ্ছে এবং এই অলমোস্ট ইমপসিবল জিনিসটা কিভাবে পসিবল হবে? আমরা অন্তত রাজনীতিবিদরা তার কোনো ওয়ে আউট দেখি না। সেক্ষেত্রে বিএনপির ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে।’