চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় ‘মদপানে’ ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় চারজনের মরদেহ আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার পৃথক চারটি গ্রাম থেকে মরদেহগুলো তোলা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হোসেন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর রাতে ডিঙ্গেদহ বাজারে কয়েকজন মিলে অ্যালকোহল পান করেন। এরপর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরমধ্যে ১১ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ রোববার অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যুর পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তবে এরই মধ্যে ‘মদপানে’ মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করে মরদেহ দাফনের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর মৃত লাল্টুর ছোট ভাই রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩০৪ ধারায় মামলা করেন।
পুলিশ পরিদর্শক হোসেন আলী বলেন, গত ৯ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকার কয়েকজন শ্রমিক এক সঙ্গে মদ পান করে। পরে ১১ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে মারা যায় চার জন। সেদিনই তাদের মরদেহ গোপনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে পরিবারের লোকজন। পরদিন ১২ অক্টোবর মারা যায় আরও দুজন। তখন বিষয়টি জানাজানি হয় এবং পুলিশ ওই দুজনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর বিষাক্ত মদ বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ফারুক আহমেদ (৪০) নামের এক জনকে আটক করে পুলিশ। তাকে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
চারটি মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ পরিদর্শক হোসেন আলী বলেন, মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন হওয়া চার জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সেগুলো চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।