ময়মনসিংহ , বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪৪ জন খালাস সাবেক এমপি হাবিবসহ বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকার কথা বলেছে বললেন আইন উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন ১৬ নভেম্বর থেকে প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত হবে নির্বাচনী অ্যাপ বললেন কমিশনার সানাউল্লাহ ১৬ নভেম্বর থেকে প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত হবে নির্বাচনী অ্যাপ জানালেন কমিশনার সানাউল্লাহ স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়ে বেরিয়ে গেলেও দিতে হবে ১০০ টাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কোথায় রাখা হবে জানালেন আইনজীবী জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৩৮ নাইজেরিয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে জিপিএ-৫ পেয়েছে বুলু সিরাজগঞ্জ ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আটক ৭
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

কার্বন-নিউট্রাল শিশু রুহাব বাংলাদেশের প্রথম

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ‘কার্বন-নিউট্রাল শিশু’ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের শিশু আয়ান খান রুহাব। মাত্র ৮ মাস বয়সেই এই বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে রুহাব।

রুহাবের বাবা ইমরান রাব্বি, পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীনম্যানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং মা আয়শা আক্তার কিরণের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য- শিশুর জন্মের মুহূর্ত থেকেই পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরি করা।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রুহাবের জন্ম। তার জীবনব্যাপী কার্বন নিঃসরণ অফসেট করতে সেপ্টেম্বর মাসে তারা সাতক্ষীরার শিবপুর গ্রামে ৫৮০টি ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করেছেন। রোপিত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, আমড়া, সুপারি ও নিম।

এই উদ্যোগের স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ICCCAD)। সংস্থার গ্রান্টজয়ী প্রকল্প ঢাকা প্ল্যান্টারস-এর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে রুহাবকে বাংলাদেশের প্রথম কার্বন-নিউট্রাল শিশু হিসেবে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।বাবা ইমরান রাব্বি বলেন, আমরা রুহাবের জন্য গাছ লাগিয়েছি, যেন সে বিশুদ্ধ বাতাস ও সবুজ পরিবেশে বড় হতে পারে। এটা তার ভবিষ্যৎ ও পৃথিবীর জন্য আমাদের ছোট্ট একটি উদ্যোগ মাত্র। সবাই রুহাবের জন্য দোয়া করবেন, যেন সে সুন্দর মনের মানুষ হয় এবং প্রকৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠে।

মা আয়শা আক্তার বলেন, আমাদের ছেলের জন্য গাছ লাগিয়েছি আমরা, কিন্তু তা সব শিশুদের জন্যই উপকারে আসবে। আপনি চাইলে আপনার পরিবারের নতুন সদস্য এলে কিছু গাছ লাগিয়ে ফেলতে পারেন, যা তার ভবিষ্যৎকে সুন্দর করবে।

পরিবেশ সচেতনতার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হওয়া ছাড়াও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টায় এক নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৪৪ জন খালাস সাবেক এমপি হাবিবসহ

কার্বন-নিউট্রাল শিশু রুহাব বাংলাদেশের প্রথম

আপডেট সময় ১০:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ‘কার্বন-নিউট্রাল শিশু’ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের শিশু আয়ান খান রুহাব। মাত্র ৮ মাস বয়সেই এই বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে রুহাব।

রুহাবের বাবা ইমরান রাব্বি, পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীনম্যানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং মা আয়শা আক্তার কিরণের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। তাদের এই উদ্যোগের লক্ষ্য- শিশুর জন্মের মুহূর্ত থেকেই পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরি করা।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রুহাবের জন্ম। তার জীবনব্যাপী কার্বন নিঃসরণ অফসেট করতে সেপ্টেম্বর মাসে তারা সাতক্ষীরার শিবপুর গ্রামে ৫৮০টি ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করেছেন। রোপিত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, আমড়া, সুপারি ও নিম।

এই উদ্যোগের স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ICCCAD)। সংস্থার গ্রান্টজয়ী প্রকল্প ঢাকা প্ল্যান্টারস-এর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে রুহাবকে বাংলাদেশের প্রথম কার্বন-নিউট্রাল শিশু হিসেবে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।বাবা ইমরান রাব্বি বলেন, আমরা রুহাবের জন্য গাছ লাগিয়েছি, যেন সে বিশুদ্ধ বাতাস ও সবুজ পরিবেশে বড় হতে পারে। এটা তার ভবিষ্যৎ ও পৃথিবীর জন্য আমাদের ছোট্ট একটি উদ্যোগ মাত্র। সবাই রুহাবের জন্য দোয়া করবেন, যেন সে সুন্দর মনের মানুষ হয় এবং প্রকৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠে।

মা আয়শা আক্তার বলেন, আমাদের ছেলের জন্য গাছ লাগিয়েছি আমরা, কিন্তু তা সব শিশুদের জন্যই উপকারে আসবে। আপনি চাইলে আপনার পরিবারের নতুন সদস্য এলে কিছু গাছ লাগিয়ে ফেলতে পারেন, যা তার ভবিষ্যৎকে সুন্দর করবে।

পরিবেশ সচেতনতার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হওয়া ছাড়াও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টায় এক নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।