নড়াইল সদর উপজেলায় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়েছে, তরিকুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে কোচিং করাতেন। চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর কোচিং শেষে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়। এ কারণে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর আলোকে ২২ অক্টোবর থেকে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৫ অক্টোবর বিকেলে স্কুল ছুটির পর চার শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন তরিকুল ইসলাম। এসময় কৌশলে তিন শিক্ষার্থীকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান।
এদিকে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার। তবে মামলার পাঁচদিনেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। এ ঘটনায় সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, সবকিছু উপেক্ষা করে, সামাজিক সম্মানহানিকে তুচ্ছ করে মামলা করেছি। কিন্তু পাঁচ দিনেও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুলকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে তাকে ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

স্টাফ রিপোর্টার 























