ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে রোববার বিকেলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র- ঢাল, শরকি, কালি, কাতরা, টেটা ও সড়কের ইট ব্যবহার করে। অনেকেই মাথায় হেলমেট পরে সংঘর্ষে অংশ নেয়। সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে টানা তিন ঘণ্টা উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে থাকে। ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৬০ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয়রা জানান, সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের লোকজনের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। গত শুক্রবার ওই জমির মাপজোক নিয়ে সালিশ বৈঠকের কথা থাকলেও রোববার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরের পর সালিশ বৈঠকে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় উভয় পক্ষের শতাধিক গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়ে সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত উপস্থিতি না থাকায় সংঘর্ষকারীরা একাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে এবং দামি জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে বেপরোয়া গ্রামবাসীকে কোনোভাবেই শান্ত করা যাচ্ছিল না।

স্টাফ রিপোর্টার 























