ময়মনসিংহ , বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গুজব অনেকটা কমেছে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগ করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে বললেন জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মুন্সীগঞ্জ চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা,গ্রেফতার ৫ ১০ নভেম্বর ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের শেষ তারিখ সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৭ দুর্গাপুর উপজেলার এই সংবিধান রাখলে জুলাইযোদ্ধাদের ফাঁসি দেওয়া যাবে বললেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ ৬টি ঝুটের গুদাম পুড়ে ছাই, তিন ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে গাজীপুরে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতাকে পুুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল সমর্থকেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার গাজী বোরহান উদ্দিন নামে এক যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন স্বজন ও দলের কর্মী-সমর্থকরা। 

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গাজী বোরহান উদ্দিন ওই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর একাধিক মামলায় আসামি হন যুবলীগ নেতা গাজী বোরহান উদ্দিন। মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করেন অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তারের পর তাকে ক্যাম্পে নিয়ে গেলে সেখানে জড়ো হন বোরহানের ভাই গাজী গিয়াস উদ্দিনসহ তাদের অন্তত দেড় থেকে দুইশ নেতাকর্মী। তাকে ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন তারা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বোরহানকে নিয়ে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পুলিশ সরাইল থানার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হামলা করা হয়। এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয় বোরহানকে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।

অরুয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‌‘পুলিশ গাজী বোরহানকে গ্রেপ্তার করলো, পরবর্তীতে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে তাদের কাছ থেকে কীভাবে নিয়ে গেলো তারাই ভালো বলতে পারবে। যেহেতু এরই মধ্যে অনেক লোক পুলিশ ক্যাম্পে এসেছে, সে অনুযায়ী যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে তাকে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। শুধু দুটি সিএনজি দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা ঠিক হয়নি। এমনকি তার হাতে হ্যান্ডকাফ পর্যন্ত ছিল না। এ নিয়ে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা।’

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো। গ্রেপ্তার আসামি পুলিশ হেফাজতে আছে কিনা, তা আমার জানা নেই।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গুজব অনেকটা কমেছে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতাকে পুুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল সমর্থকেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আপডেট সময় ০৯:৫২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার গাজী বোরহান উদ্দিন নামে এক যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন স্বজন ও দলের কর্মী-সমর্থকরা। 

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল বাজারে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গাজী বোরহান উদ্দিন ওই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর একাধিক মামলায় আসামি হন যুবলীগ নেতা গাজী বোরহান উদ্দিন। মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করেন অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তারের পর তাকে ক্যাম্পে নিয়ে গেলে সেখানে জড়ো হন বোরহানের ভাই গাজী গিয়াস উদ্দিনসহ তাদের অন্তত দেড় থেকে দুইশ নেতাকর্মী। তাকে ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন তারা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বোরহানকে নিয়ে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পুলিশ সরাইল থানার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হামলা করা হয়। এ সময় ছিনিয়ে নেওয়া হয় বোরহানকে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।

অরুয়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‌‘পুলিশ গাজী বোরহানকে গ্রেপ্তার করলো, পরবর্তীতে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে তাদের কাছ থেকে কীভাবে নিয়ে গেলো তারাই ভালো বলতে পারবে। যেহেতু এরই মধ্যে অনেক লোক পুলিশ ক্যাম্পে এসেছে, সে অনুযায়ী যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে তাকে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। শুধু দুটি সিএনজি দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা ঠিক হয়নি। এমনকি তার হাতে হ্যান্ডকাফ পর্যন্ত ছিল না। এ নিয়ে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা।’

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো। গ্রেপ্তার আসামি পুলিশ হেফাজতে আছে কিনা, তা আমার জানা নেই।’