ময়মনসিংহ , শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা-লুটপাট কুষ্টিয়ায়

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের সুলতানপুর ও বের কালোয়া গ্রামে সংঘটিত এ ঘটনায় বিএনপির অন্তত ১২ নেতাকর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি বকুল বিশ্বাস ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে পদ্মা নদী ও কালোয়া বাজার এলাকায় আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে ১ নভেম্বর দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন আহত হন।

ওই ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় বকুল বিশ্বাসের পক্ষের লোকজন আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে মিলে রাশিদুল ইসলামের অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ১২টি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলাকারীরা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, গবাদিপশুসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবদল নেতা সালমান এফ রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলামসহ অনেকে রয়েছেন। সালমানের পরিবার জানায়, হামলাকারীরা বাড়ির জানালা-দরজা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণ ও দুটি গরু লুট করে। হামলার নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপি নেতা বকুল বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা।

তার বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে রাশিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা বকুল মেম্বার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের ১২টি বাড়িতে হামলা লুটপাট করিয়েছেন। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ তার ভাষ্য, চাঁদা না দেওয়ায় এক মাসে এ নিয়ে তিন দফায় হামলা হয়েছে। থানায় চার-পাঁচটি মামলাও হয়েছে। জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এক পক্ষের লোকজন আরেক পক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ নভেম্বরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল। তাদের প্রতিপক্ষ এজাহার দিতে দেরি করায় সেই মামলা নথিভুক্ত হয়নি। তদন্ত চলছে। দ্রুতই নথিভুক্ত করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা-লুটপাট কুষ্টিয়ায়

আপডেট সময় ১০:২৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের সুলতানপুর ও বের কালোয়া গ্রামে সংঘটিত এ ঘটনায় বিএনপির অন্তত ১২ নেতাকর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি বকুল বিশ্বাস ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে পদ্মা নদী ও কালোয়া বাজার এলাকায় আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে ১ নভেম্বর দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন আহত হন।

ওই ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় বকুল বিশ্বাসের পক্ষের লোকজন আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে মিলে রাশিদুল ইসলামের অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ১২টি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলাকারীরা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, গবাদিপশুসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবদল নেতা সালমান এফ রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলামসহ অনেকে রয়েছেন। সালমানের পরিবার জানায়, হামলাকারীরা বাড়ির জানালা-দরজা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণ ও দুটি গরু লুট করে। হামলার নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপি নেতা বকুল বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা।

তার বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে রাশিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা বকুল মেম্বার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের ১২টি বাড়িতে হামলা লুটপাট করিয়েছেন। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ তার ভাষ্য, চাঁদা না দেওয়ায় এক মাসে এ নিয়ে তিন দফায় হামলা হয়েছে। থানায় চার-পাঁচটি মামলাও হয়েছে। জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এক পক্ষের লোকজন আরেক পক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ নভেম্বরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল। তাদের প্রতিপক্ষ এজাহার দিতে দেরি করায় সেই মামলা নথিভুক্ত হয়নি। তদন্ত চলছে। দ্রুতই নথিভুক্ত করা হবে।