ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পিএসসির নতুন নির্দেশনা ৪৭তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি গঠন এনসিপির অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে একটিও সাজানো ‘ক্রসফায়ার’ নেই, পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও বললেন প্রেস সচিব আজও কড়া নিরাপত্তা ট্রাইব্যুনাল চত্বরে ১৭০ বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলো সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার রাজবাড়ীতে মির্জা ফখরুলের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের মানদণ্ড পূরণ হয়নি হাসিনা-কামালের বিচারে পাঁচ স্থানে ছাত্রলীগের মশালমিছিল মাদারীপুরে , সতর্ক পুলিশ বিএনপি : ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সিআইডির মামলা ৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিংয়ে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দর খাতে নতুন মাইলফলক বললেন উপদেষ্টা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়েছে। ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালস চট্টগ্রাম বন্দরে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়নে বৈদেশিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং অন্যতম বৃহৎ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্প।

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এপিএম টার্মিনালস এবং স্থানীয় অংশীদার কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিসেস লিমিটেডকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লেটার অব অ্যাওয়ার্ড প্রদান এবং প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পিপিপি কর্তৃপক্ষ, এপিএম টার্মিনালস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের শীর্ষ পর্যায়ের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বখ্যাত এ.পি. মোলার-মেয়ার্স্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা এবং ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লিনা গান্ডলোসে হ্যানসেন এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও জটিলতা চট্টগ্রাম বন্দরের সম্ভাবনার পথে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করেছে। লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে এবং রপ্তানিকারকদের জন্য বন্দর সেবা আরও নির্ভরযোগ্য হবে। মেয়ার্স্কের মতো অভিজ্ঞ অপারেটরের আগমন আমাদের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধানে সহায়তা করবে।

ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লকে রাসমুসেন ভার্চুয়াল বার্তায় বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মেয়ার্স্কের অংশীদারিত্ব দীর্ঘদিনের এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া সমস্ত কনটেইনারের প্রায় ৩০ শতাংশ পরিচালনা করে মেয়ার্স্ক। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে মেয়ার্স্ক-এপিএম টার্মিনালসের এই বিনিয়োগ একটি বাস্তব ও টেকসই অংশীদারিত্বের শক্তিশালী প্রতীক, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের প্রতি গভীর আস্থার প্রকাশ।

এপিএম টার্মিনালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিথ স্বেন্ডসেন বলেন, এই গ্রিনফিল্ড প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারার, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের কার্যক্রমে সক্রিয় সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারব। পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিএসসির নতুন নির্দেশনা ৪৭তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায়

এপিএম টার্মিনালসের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দর খাতে নতুন মাইলফলক বললেন উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৯:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হয়েছে। ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালস চট্টগ্রাম বন্দরে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়নে বৈদেশিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় ইউরোপীয় বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং অন্যতম বৃহৎ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্প।

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এপিএম টার্মিনালস এবং স্থানীয় অংশীদার কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিসেস লিমিটেডকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লেটার অব অ্যাওয়ার্ড প্রদান এবং প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

পিপিপি কর্তৃপক্ষ, এপিএম টার্মিনালস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের শীর্ষ পর্যায়ের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বখ্যাত এ.পি. মোলার-মেয়ার্স্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা এবং ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লিনা গান্ডলোসে হ্যানসেন এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও জটিলতা চট্টগ্রাম বন্দরের সম্ভাবনার পথে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করেছে। লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে এবং রপ্তানিকারকদের জন্য বন্দর সেবা আরও নির্ভরযোগ্য হবে। মেয়ার্স্কের মতো অভিজ্ঞ অপারেটরের আগমন আমাদের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধানে সহায়তা করবে।

ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লকে রাসমুসেন ভার্চুয়াল বার্তায় বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মেয়ার্স্কের অংশীদারিত্ব দীর্ঘদিনের এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া সমস্ত কনটেইনারের প্রায় ৩০ শতাংশ পরিচালনা করে মেয়ার্স্ক। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে মেয়ার্স্ক-এপিএম টার্মিনালসের এই বিনিয়োগ একটি বাস্তব ও টেকসই অংশীদারিত্বের শক্তিশালী প্রতীক, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের প্রতি গভীর আস্থার প্রকাশ।

এপিএম টার্মিনালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিথ স্বেন্ডসেন বলেন, এই গ্রিনফিল্ড প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারার, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের কার্যক্রমে সক্রিয় সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারব। পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।