আগুনে শারীরিকভাবে অসুস্থ (প্যারালাইজড) রইচ উদ্দিন (৭২) ঘর থেকে বের হতে না পারায় দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইউসুফ তেলির ছেলে।
নবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু মুসা বলেন, “সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। কিন্তু ততক্ষণে গ্রামের ১০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। ঘর থেকে বের হতে না পারায় রইচ উদ্দিন নামক এক বৃদ্ধ আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ ছাড়াও ৭টি গরু আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। প্রাথমিক ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।” তিনি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ ঘটনায় এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়ায় দ্রুত পুনর্বাসন ও সহযোগিতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্টাফ রিপোর্টার 
























