ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
খালেদা জিয়ার জন্য মাসুম বাচ্চাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন বললেন রিজভী গুজবে কান না দিয়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া করুন বললেন ইশরাক ব্যান্ড নেমেসিস ও ফুয়াদ আতিফের সঙ্গে একই মঞ্চে গাইবে ১ লাখ ৬৮ হাজার প্রবাসীর নিবন্ধন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে লেবানন-ইসরায়েলের প্রথম সরাসরি বৈঠক ৪০ বছর পর নেইমারের হ্যাটট্রিক চোট নিয়ে মাঠে নেমে দুপুরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা : ডা. জাহিদ বিএনপি প্রার্থীকে না ডাকায় পণ্ড খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনার দোয়া টাঙ্গাইল ইসি থেকে ‘শাপলা কলি’ এনসিপি প্রতীকে সনদ পেল শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র মিরপুরে ভাঙচুর ও লুটপাট মামলায়
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

পুতিনের ৫ ঘণ্টার বৈঠক যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন আলোচকদের সঙ্গে

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার ক্রেমলিনে মার্কিন আলোচকদের পাঁচ ঘণ্টা যাবৎ বৈঠক হয়েছে। পুতিনের সহকারী ইউরি উশাকভ বলেছেন, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি গঠনমূলক ছিল তবে সামনে অনেক কাজ বাকি।

এই আলোচনার কয়েক ঘণ্টা আগেই, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি ইউরোপ আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায়, আমরা তা করতে প্রস্তুত।

গত দুই সপ্তাহ ধরে কিয়েভের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একই ধরনের আলোচনার পর মস্কো গেছেন মার্কিন দূতরা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন যে, তিনি এই বৈঠকের পরে মার্কিন প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে একটি ব্রিফিং আশা করছেন।

আজকের আলোচনার উপর সবকিছু নির্ভর করছে, আয়ারল্যান্ডে ডাবলিনে সরকারি সফরের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেলেনস্কি।

নভেম্বরে ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে আসার পর এ নিয়ে দুইবার মার্কিন আলোচকদের সাথে দেখা করেছেন কিয়েভের প্রতিনিধিরা, যার মধ্যে উইটকফ, কুশনার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রয়েছেন।

এই আলোচনায়, প্রায় চার বছর আগে ইউক্রেন আক্রমণকারী রাশিয়ার চাহিদাগুলোও সামনে আসার বিষয়টি ইউক্রেন এবং ইউরোপকে হতবাক করেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার পর, হোয়াইট হাউস বলেছে যে প্রস্তাবগুলো অনেক পরিমার্জিত করা হয়েছে, যদিও হালনাগাদ করা পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিরোধ এখনও রয়ে গেছে- যেমন রাশিয়ার আংশিক নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোর উপর ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।

মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, কোনও সহজ সমাধান নেই।

তিনি নিজের দেশের দাবিগুলো পুনরাবৃত্তি করে বলেন, কিয়েভ শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে এবং নেটো সদস্যপদ সহ স্পষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইবে। দীর্ঘদিন ধরে যার বিরোধিতা করে আসছে রাশিয়া। ট্রাম্পও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আমাদের এমনভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে যাতে এক বছরের মধ্যে রাশিয়া ফিরে না আসে, জেলেনস্কি আরও বলেন।

গত সপ্তাহের মতো সম্প্রতি পুতিনও নিজের দাবিতে অটল রয়েছেন। অন্যদিকে জেলেনস্কি বারবার বলেছেন যে তিনি কখনই পূর্ব ইউক্রেনিয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করবেন না।

মঙ্গলবারের আলোচনা চলাকালীন, ওয়াশিংটনে ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভাকে বলেছিলেন যে এই সংঘাতের সমাধান সহজ নয়।

আমরা এর মীমাংসা করতে পারি কিনা সেটি দেখার জন্য আমাদের লোকজন এখন রাশিয়ায় আছে, তিনি বলেন।

নিজস্ব নথির মাধ্যমে ২৮-দফা পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্ররা। দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে কার্যত রাশিয়ান এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়েও তাদের আপত্তি রয়েছে।

মঙ্গলবারের বৈঠকের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপের দাবি গ্রহণযোগ্য নয় এবং তারা শান্তির প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

সোমবার জেলেনস্কি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে দেখা করেছিলেন। ওই বৈঠকে বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নেতাও ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন, আলোচনা করার কোনও চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেই এবং এটি কেবল ইউক্রেন এবং ইউরোপের মতামতের ভিত্তিতেই অর্জন করা সম্ভব।

এদিকে, মঙ্গলবারও যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখ সারিতে লড়াই অব্যাহত ছিল। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা এখনও গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোকরোভস্কে রাশিয়ান সেনাদের সাথে লড়াই করছে। যা ওই এলাকা দখল করে নেওয়ার মস্কোর দাবির বিরোধিতা করে।

সম্প্রতি টেলিগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যেখানে দাবি করা হয়েছে, তাদের সৈন্যরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই শহরে পতাকা ধরে আছে, যা তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দখলের চেষ্টা করছে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড দাবি করেছে, ওই শহরে পতাকা লাগানোর চেষ্টা করেছিল রাশিয়া, যাতে এলাকাটি দখল করা হয়েছে বলে প্রচারণা চালালো যায়।

তারা তাড়াহুড়ো করে পালিয়ে গেছে, এবং শত্রু গোষ্ঠীকে হটিয়ে দেওয়ার করার কাজ অব্যাহত রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলা হয়।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, তাদের সেনারা এখনও শহরের উত্তর অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং রাশিয়ান ইউনিটগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও এই অঞ্চলে রাশিয়ার দাবির বিরোধিতা করেছেন।

কিয়েভের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনিয় সীমান্তবর্তী শহর ভোভচানস্ক দখলের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব শহর কুপিয়ানসে তাদের অবস্থান “উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী” হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগেই যে অঞ্চলটি জয় করার দাবি করেছিল রাশিয়া।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে, ১৪ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিকের পাশাপাশি হাজার হাজার সৈন্য নিহত বা আহত হয়েছেন।

ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল, হাসপাতাল এবং আবাসিক ভবনসহ অসংখ্য বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে এই দুটি সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। যখন ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করা হয় এবং রাশিয়া ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করে এবং পূর্ব ইউক্রেনে সশস্ত্র বিদ্রোহকে সমর্থন করে প্রতিক্রিয়া জানায়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

খালেদা জিয়ার জন্য মাসুম বাচ্চাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন বললেন রিজভী

পুতিনের ৫ ঘণ্টার বৈঠক যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন আলোচকদের সঙ্গে

আপডেট সময় ১১:১৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার ক্রেমলিনে মার্কিন আলোচকদের পাঁচ ঘণ্টা যাবৎ বৈঠক হয়েছে। পুতিনের সহকারী ইউরি উশাকভ বলেছেন, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি গঠনমূলক ছিল তবে সামনে অনেক কাজ বাকি।

এই আলোচনার কয়েক ঘণ্টা আগেই, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি ইউরোপ আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায়, আমরা তা করতে প্রস্তুত।

গত দুই সপ্তাহ ধরে কিয়েভের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একই ধরনের আলোচনার পর মস্কো গেছেন মার্কিন দূতরা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন যে, তিনি এই বৈঠকের পরে মার্কিন প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে একটি ব্রিফিং আশা করছেন।

আজকের আলোচনার উপর সবকিছু নির্ভর করছে, আয়ারল্যান্ডে ডাবলিনে সরকারি সফরের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেলেনস্কি।

নভেম্বরে ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে আসার পর এ নিয়ে দুইবার মার্কিন আলোচকদের সাথে দেখা করেছেন কিয়েভের প্রতিনিধিরা, যার মধ্যে উইটকফ, কুশনার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রয়েছেন।

এই আলোচনায়, প্রায় চার বছর আগে ইউক্রেন আক্রমণকারী রাশিয়ার চাহিদাগুলোও সামনে আসার বিষয়টি ইউক্রেন এবং ইউরোপকে হতবাক করেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার পর, হোয়াইট হাউস বলেছে যে প্রস্তাবগুলো অনেক পরিমার্জিত করা হয়েছে, যদিও হালনাগাদ করা পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিরোধ এখনও রয়ে গেছে- যেমন রাশিয়ার আংশিক নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোর উপর ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।

মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, কোনও সহজ সমাধান নেই।

তিনি নিজের দেশের দাবিগুলো পুনরাবৃত্তি করে বলেন, কিয়েভ শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে এবং নেটো সদস্যপদ সহ স্পষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইবে। দীর্ঘদিন ধরে যার বিরোধিতা করে আসছে রাশিয়া। ট্রাম্পও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আমাদের এমনভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে যাতে এক বছরের মধ্যে রাশিয়া ফিরে না আসে, জেলেনস্কি আরও বলেন।

গত সপ্তাহের মতো সম্প্রতি পুতিনও নিজের দাবিতে অটল রয়েছেন। অন্যদিকে জেলেনস্কি বারবার বলেছেন যে তিনি কখনই পূর্ব ইউক্রেনিয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করবেন না।

মঙ্গলবারের আলোচনা চলাকালীন, ওয়াশিংটনে ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভাকে বলেছিলেন যে এই সংঘাতের সমাধান সহজ নয়।

আমরা এর মীমাংসা করতে পারি কিনা সেটি দেখার জন্য আমাদের লোকজন এখন রাশিয়ায় আছে, তিনি বলেন।

নিজস্ব নথির মাধ্যমে ২৮-দফা পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্ররা। দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে কার্যত রাশিয়ান এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়েও তাদের আপত্তি রয়েছে।

মঙ্গলবারের বৈঠকের আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপের দাবি গ্রহণযোগ্য নয় এবং তারা শান্তির প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

সোমবার জেলেনস্কি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে দেখা করেছিলেন। ওই বৈঠকে বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নেতাও ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন।

ম্যাক্রোঁ বলেন, আলোচনা করার কোনও চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেই এবং এটি কেবল ইউক্রেন এবং ইউরোপের মতামতের ভিত্তিতেই অর্জন করা সম্ভব।

এদিকে, মঙ্গলবারও যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখ সারিতে লড়াই অব্যাহত ছিল। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা এখনও গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর পোকরোভস্কে রাশিয়ান সেনাদের সাথে লড়াই করছে। যা ওই এলাকা দখল করে নেওয়ার মস্কোর দাবির বিরোধিতা করে।

সম্প্রতি টেলিগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যেখানে দাবি করা হয়েছে, তাদের সৈন্যরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই শহরে পতাকা ধরে আছে, যা তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দখলের চেষ্টা করছে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড দাবি করেছে, ওই শহরে পতাকা লাগানোর চেষ্টা করেছিল রাশিয়া, যাতে এলাকাটি দখল করা হয়েছে বলে প্রচারণা চালালো যায়।

তারা তাড়াহুড়ো করে পালিয়ে গেছে, এবং শত্রু গোষ্ঠীকে হটিয়ে দেওয়ার করার কাজ অব্যাহত রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলা হয়।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, তাদের সেনারা এখনও শহরের উত্তর অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং রাশিয়ান ইউনিটগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও এই অঞ্চলে রাশিয়ার দাবির বিরোধিতা করেছেন।

কিয়েভের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনিয় সীমান্তবর্তী শহর ভোভচানস্ক দখলের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব শহর কুপিয়ানসে তাদের অবস্থান “উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী” হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগেই যে অঞ্চলটি জয় করার দাবি করেছিল রাশিয়া।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে, ১৪ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিকের পাশাপাশি হাজার হাজার সৈন্য নিহত বা আহত হয়েছেন।

ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল, হাসপাতাল এবং আবাসিক ভবনসহ অসংখ্য বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে এই দুটি সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। যখন ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করা হয় এবং রাশিয়া ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করে এবং পূর্ব ইউক্রেনে সশস্ত্র বিদ্রোহকে সমর্থন করে প্রতিক্রিয়া জানায়।