ময়মনসিংহ , শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, হাদির ব্রেন স্টেম ক্ষতিগ্রস্ত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা ওসমান হাদির ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট তিন উপদেষ্টা হাসপাতালে ওসমান হাদিকে দেখতে সচিবালয়ের ১৪ কর্মকর্তা–কর্মচারীর পাঁচ দিনের রিমান্ড সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জুবাইদা রহমান হাসপাতালে হাদির পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন হাদির ওপর কাপুরুষচিত হামলার ঘটনায় ব্লেম গেম নয়, সরকারকে সহযোগিতা জরুরি বললেন মুশফিকুল ফজল ওসমান হাদির ভাইয়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ফোনে কথা বলেছেন , সর্বোচ্চ সহযোগিতার নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা পর ফার্মগেটের সড়ক ছাড়লেন ভোটে জিততে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে বললেন মির্জা ফখরুল আজ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের উদ্বোধন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আগামীকাল বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী আজহার আলীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক সচিব, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অবৈতনিক উপাচার্য, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা একাধারে সমাজসেবক কাজী আজহার আলীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল রবিবার (১৫ ডিসেম্বর)।

২০০৯ সালের এ দিনে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

কাজী আজহার আলী ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদান করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর পূর্ব পাকিস্তানে মহকুমা প্রশাসক (এসডিও), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক পদে চাকরিকালে শোষিত ও অবহেলিত বাঙালি জাতির ন্যায্য দাবি ও অধিকার প্রদানে পাকিস্তান সরকারকে বিভিন্নভাবে বাধ্য করেছিলেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তার মানবতাবাদী কার্যক্রম বহুগুণে বিস্তৃত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের শাসনামলে ৬টি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চাকরিকালে দেশে-বিদেশে সরকারের নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ ইতিবাচক ভূমিকা তিনি পালন করেন। একাধিক সামরিক শাসনামলেও জনগণের ওপর উগ্র শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতায়ন তিনি তার মেধা, মনন ও বুদ্ধিমত্তায় মোকাবিলা করে বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে বারবার এ দেশকে রক্ষা করেছেন। বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে চাকরিকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ নির্মাণে তার অবদান অনস্বীকার্য।

সমাজসেবার পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তিনি। তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘তিনকাল’সহ উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে Rural Development in Bangladesh, District Administration in Bangladesh, Decentralised Administration in Bangladesh, State Trading and Its Impact on Economy, স্মৃতির পাতা থেকে, ইতিহাসের অলিগলি, আমার দেখা একুশে, বাংলাদেশে জেলা প্রশাসন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে, সেই সব দিনগুলি, ঝড়ো হাওয়ার মাঝে উল্লেখযোগ্য।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, হাদির ব্রেন স্টেম ক্ষতিগ্রস্ত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী

আগামীকাল বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কাজী আজহার আলীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় ০৩:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাবেক সচিব, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অবৈতনিক উপাচার্য, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা একাধারে সমাজসেবক কাজী আজহার আলীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল রবিবার (১৫ ডিসেম্বর)।

২০০৯ সালের এ দিনে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

কাজী আজহার আলী ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদান করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর পূর্ব পাকিস্তানে মহকুমা প্রশাসক (এসডিও), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক পদে চাকরিকালে শোষিত ও অবহেলিত বাঙালি জাতির ন্যায্য দাবি ও অধিকার প্রদানে পাকিস্তান সরকারকে বিভিন্নভাবে বাধ্য করেছিলেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তার মানবতাবাদী কার্যক্রম বহুগুণে বিস্তৃত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের শাসনামলে ৬টি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চাকরিকালে দেশে-বিদেশে সরকারের নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ ইতিবাচক ভূমিকা তিনি পালন করেন। একাধিক সামরিক শাসনামলেও জনগণের ওপর উগ্র শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতায়ন তিনি তার মেধা, মনন ও বুদ্ধিমত্তায় মোকাবিলা করে বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে বারবার এ দেশকে রক্ষা করেছেন। বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে চাকরিকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ নির্মাণে তার অবদান অনস্বীকার্য।

সমাজসেবার পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তিনি। তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘তিনকাল’সহ উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে Rural Development in Bangladesh, District Administration in Bangladesh, Decentralised Administration in Bangladesh, State Trading and Its Impact on Economy, স্মৃতির পাতা থেকে, ইতিহাসের অলিগলি, আমার দেখা একুশে, বাংলাদেশে জেলা প্রশাসন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে, সেই সব দিনগুলি, ঝড়ো হাওয়ার মাঝে উল্লেখযোগ্য।