ময়মনসিংহ , শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

দক্ষিণ কোরিয়ায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে, নিহত বেড়ে ১২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪ জনে। রোববার সকালে ঘটা এই দুর্ঘটনার  খবর দিয়েছে বিবিসি। ওদিকে একটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই মর্মান্তিক প্রাণহানী হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ মর্মে খবর দিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ।

জেজু এয়ারের ৭সি-২২১৬ নামের ওই উড়োজাহাজটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলছে উদ্ধার কার্যক্রম। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহোপে প্রকাশিত ছবিতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

দেশটির পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৩৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও সংখ্যাটি চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মুয়ানের এক অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন তারা।

অন্যদিকে ইয়োহোপ জানিয়েছে এ পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার হয়েছে তিনজন। স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট ওই বিমানটি কোনো দৃশ্যমান ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর একটি দেয়ালে ধাক্কা লেগে বিমানটিতে বিস্ফোরণ হয়। এতে বিমানের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গেছে। বিমানটিতে থাইল্যান্ডের দুই যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ওই দুজন বাদে সবাই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উড়োজাহাজটি জেজু এয়ার পরিচালিত ৭৩৭-৮০০ মডেলের একটি যাত্রীবাহী (বোয়িং) বিমান। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিমান সংস্থার এক মুখপাত্র। তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে জবাব দেয়নি বোয়িং এবং মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। অন্তবর্তীকালীন নেতা হিসেবে মনোনীত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল কর্তৃক সামরিক শাসন জারির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সংকট পার করছে দেশটিতে। এর মধ্যেই দেশটির এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেল বিশ্ব।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণ কোরিয়ায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে, নিহত বেড়ে ১২৪

আপডেট সময় ০২:২৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৪ জনে। রোববার সকালে ঘটা এই দুর্ঘটনার  খবর দিয়েছে বিবিসি। ওদিকে একটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই মর্মান্তিক প্রাণহানী হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ মর্মে খবর দিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ।

জেজু এয়ারের ৭সি-২২১৬ নামের ওই উড়োজাহাজটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। চলছে উদ্ধার কার্যক্রম। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহোপে প্রকাশিত ছবিতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।

দেশটির পরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৩৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও সংখ্যাটি চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মুয়ানের এক অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন তারা।

অন্যদিকে ইয়োহোপ জানিয়েছে এ পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার হয়েছে তিনজন। স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট ওই বিমানটি কোনো দৃশ্যমান ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর একটি দেয়ালে ধাক্কা লেগে বিমানটিতে বিস্ফোরণ হয়। এতে বিমানের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গেছে। বিমানটিতে থাইল্যান্ডের দুই যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ওই দুজন বাদে সবাই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উড়োজাহাজটি জেজু এয়ার পরিচালিত ৭৩৭-৮০০ মডেলের একটি যাত্রীবাহী (বোয়িং) বিমান। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিমান সংস্থার এক মুখপাত্র। তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে জবাব দেয়নি বোয়িং এবং মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। অন্তবর্তীকালীন নেতা হিসেবে মনোনীত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল কর্তৃক সামরিক শাসন জারির পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক সংকট পার করছে দেশটিতে। এর মধ্যেই দেশটির এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেল বিশ্ব।