ময়মনসিংহ , বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
রোনালদো-জর্জিনা আগামী বছরেই বিয়ে করছেন গরু ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে টাকা ছিনতায়ের ঘটনায় তিন ডাকাত গ্রেপ্তার মাদারীপুরে ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য উপহার পাঠালেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কাওকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে না বললেন সিইসি বহিষ্কৃত আরও ছয় নেতাকে পুনর্বহাল পদে ৪৪তম বিসিএস থেকে ৩৯৭৭ জন নন-ক্যাডারে নিয়োগ পাচ্ছে পানি সংকটে বিলম্ব, কড়াইল বস্তির আগুন ১৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে নারীর মরদেহ উদ্ধার পৌরসভা কার্যালয়ের কক্ষ থেকে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিনেই , কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ নবজাতক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসা ব্যয়ে দিশেহারা পরিবার
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সিরাজগঞ্জে তাড়াশে সরিষার ফলনে ক্ষতির মুখে কৃষক

  • Aminul Islam
  • আপডেট সময় ০৪:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৪৩২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ-

সিরাজগঞ্জে তাড়াশে এবারের মৌসুমে সরিষার ফলনে আবাদের ভয়াবহ ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। এতে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষকরা। 

এদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, সরিষার বীজ বপনের কিছুদিনের মধ্যে বৃষ্টি হয়। তখন গাছগুলো লকলকে সবুজ হয়ে ওঠে ও ফুল ফুটতে শুরু করে। পরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সরিষা গাছের শেকড় পচে যাচ্ছে। তখন খেতে ঔষধ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কৃষকদের। তাতেও কাজ হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ করেছেন পৌর এলাকার উলিপুর, বিপাচান, নওগাঁ ইউনিয়নের ললুয়াকান্দি, মহিষলুটি এবং সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল, কামাড়শন ও মাকড়শন গ্রামের কৃষকরা।

তাড়াশ পৌর এলাকার বিপাচান গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বিঘা ক্ষেতে ১ মণ কিংবা তার চেয়েও কম সরিষা হয়েছে। আমি ১০ বিঘা ক্ষেতে সরিষার আবাদ করে ৯ মণ সরিষা পেয়েছি।’

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, আমাদের জীবনে কখনও সরিষার আবাদে এত কম ফলন হতে দেখিনি। আমরা আশাহত হয়ে পড়েছি। প্রতি বিঘা ক্ষেতের সরিষার আবাদে খরচ হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। ১ বিঘা ক্ষেতের সরিষা তুলে বাড়ি আনতে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে আরও ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সরিষার মাড়াই খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ। অথচ বিঘায় ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি সম্ভব হয়েছে।

আক্ষেপ করে তারা বলেন, এ বছর টেনেটুনে সংসার চালাতে হবে। বোরো আবাদের জন্য অনেকের ঋণ করতে হবে। অথচ আগের বছরগুলোয় সরিষা বেচেই বোরো আবাদের খরচের টাকা হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোনালদো-জর্জিনা আগামী বছরেই বিয়ে করছেন

সিরাজগঞ্জে তাড়াশে সরিষার ফলনে ক্ষতির মুখে কৃষক

আপডেট সময় ০৪:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইন নিউজ-

সিরাজগঞ্জে তাড়াশে এবারের মৌসুমে সরিষার ফলনে আবাদের ভয়াবহ ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। এতে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষকরা। 

এদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, সরিষার বীজ বপনের কিছুদিনের মধ্যে বৃষ্টি হয়। তখন গাছগুলো লকলকে সবুজ হয়ে ওঠে ও ফুল ফুটতে শুরু করে। পরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সরিষা গাছের শেকড় পচে যাচ্ছে। তখন খেতে ঔষধ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কৃষকদের। তাতেও কাজ হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ করেছেন পৌর এলাকার উলিপুর, বিপাচান, নওগাঁ ইউনিয়নের ললুয়াকান্দি, মহিষলুটি এবং সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল, কামাড়শন ও মাকড়শন গ্রামের কৃষকরা।

তাড়াশ পৌর এলাকার বিপাচান গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বিঘা ক্ষেতে ১ মণ কিংবা তার চেয়েও কম সরিষা হয়েছে। আমি ১০ বিঘা ক্ষেতে সরিষার আবাদ করে ৯ মণ সরিষা পেয়েছি।’

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, আমাদের জীবনে কখনও সরিষার আবাদে এত কম ফলন হতে দেখিনি। আমরা আশাহত হয়ে পড়েছি। প্রতি বিঘা ক্ষেতের সরিষার আবাদে খরচ হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। ১ বিঘা ক্ষেতের সরিষা তুলে বাড়ি আনতে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে আরও ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সরিষার মাড়াই খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ। অথচ বিঘায় ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি সম্ভব হয়েছে।

আক্ষেপ করে তারা বলেন, এ বছর টেনেটুনে সংসার চালাতে হবে। বোরো আবাদের জন্য অনেকের ঋণ করতে হবে। অথচ আগের বছরগুলোয় সরিষা বেচেই বোরো আবাদের খরচের টাকা হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে।