অনলাইন নিউজ-
সিরাজগঞ্জে তাড়াশে এবারের মৌসুমে সরিষার ফলনে আবাদের ভয়াবহ ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। এতে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
এদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, সরিষার বীজ বপনের কিছুদিনের মধ্যে বৃষ্টি হয়। তখন গাছগুলো লকলকে সবুজ হয়ে ওঠে ও ফুল ফুটতে শুরু করে। পরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে সরিষা গাছের শেকড় পচে যাচ্ছে। তখন খেতে ঔষধ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কৃষকদের। তাতেও কাজ হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ করেছেন পৌর এলাকার উলিপুর, বিপাচান, নওগাঁ ইউনিয়নের ললুয়াকান্দি, মহিষলুটি এবং সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল, কামাড়শন ও মাকড়শন গ্রামের কৃষকরা।
তাড়াশ পৌর এলাকার বিপাচান গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বিঘা ক্ষেতে ১ মণ কিংবা তার চেয়েও কম সরিষা হয়েছে। আমি ১০ বিঘা ক্ষেতে সরিষার আবাদ করে ৯ মণ সরিষা পেয়েছি।’
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, আমাদের জীবনে কখনও সরিষার আবাদে এত কম ফলন হতে দেখিনি। আমরা আশাহত হয়ে পড়েছি। প্রতি বিঘা ক্ষেতের সরিষার আবাদে খরচ হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। ১ বিঘা ক্ষেতের সরিষা তুলে বাড়ি আনতে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে আরও ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সরিষার মাড়াই খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ। অথচ বিঘায় ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি সম্ভব হয়েছে।
আক্ষেপ করে তারা বলেন, এ বছর টেনেটুনে সংসার চালাতে হবে। বোরো আবাদের জন্য অনেকের ঋণ করতে হবে। অথচ আগের বছরগুলোয় সরিষা বেচেই বোরো আবাদের খরচের টাকা হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে।