পটুয়াখালীতে নুরজাহান বেগম (৪৫) নামে দুই সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) ভোর রাতে সদর উপজেলার ছোট আউলিয়াপুর বলাইকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের নাম নুর মোহাম্মদ হাওলাদার।
স্বজনরা জানান, দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে নুর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন রাতে তালাক দেওয়ার জন্য নুরজাহানকে চাপ প্রয়োগ করেন তার স্বামী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে পুত্রবধূদের মধ্যস্থতায় ঝগড়া থামে এবং সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাত ৩টার দিকে নুরজাহান বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে নুর মোহাম্মদ। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে নিহতের স্বজনরা।নিহত নূরজাহান বেগমের ছেলে বেল্লাল বলেন, তার বাবা-মায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা কলহের কারণ ছিল বাবার দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়া। এতে সম্মতি ছিল না মা নূরজাহান বেগমের। এ কারণে প্রায়ই নূরজাহান বেগমকে মারধর করতেন নূর মোহাম্মদ। শনিবার বিকেলেও তাকে মারধর করা হয়।বেল্লাল আরও বলেন, আজ ভোররাতে মায়ের ঘর থেকে আসা গোঙানির শব্দ শুনে তিনি সেখানে গিয়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ জানান, এই ঘটনায় নিহত নুরজাহানের স্বামী নূর মোহাম্মদ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।