ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ ত্রিশাল বাইক রাইডার হতা- রহস্য  উদঘাটন করল পিবিআই, ময়মনিসংহ জেলা; গ্রেফতার ০৩, মাটর-সাইেকল – উদ্ধার ময়মনসিংহ নগরে প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো একটি মাজারে কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলা পুড়ল লকারে থাকা ৫০টি ছাগল অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ সারাদেশে গ্যাসের চাপ কম থাকবে তিনদিন এলএনজি সরবরাহ বন্ধ ভাঙারির দোকানে মিললো চট্টগ্রাম আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি আপিল বিভাগে আবেদন রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রম সংশোধনে আদালত থেকে চুরি হওয়া ৯ বস্তা মামলার নথি উদ্ধার ব্যাগে মিলল ২৫ বোতল মদ মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ২ আরোহীর মৃত্যু বাগেরহাটে বিএনপির দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে৮ বাড়িতে আগুন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

খালেদার লন্ডনযাত্রা,পথে পথে জনস্রোত

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের পথে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাতে কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কাতারে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি দিয়ে তিনি লন্ডন পৌঁছাবেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি যাবেন লন্ডন ক্লিনিকে। ওই হাসপাতালেই তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সফরে দীর্ঘ সাত বছর পর ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বিএনপি চেয়ারপারসনের। ওদিকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রায় তাকে আবেগঘন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রাত আটটার পর খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পুরো সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে আবেগঘন শুভেচ্ছা জানান। তারা খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন সেøøাগান দেন। হাজারো নেতাকর্মীর ভিড়ে পুরো সড়ক লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। ভিড়ের কারণে গাড়ি বহর ধীর গতিতে বিমানবন্দরের দিকে এগোতে থাকে। রাত ১০টায় খালেদা জিয়ার এয়ার এম্বুলেন্স উড্ডয়ন করার কথা থাকলেও গাড়ি বহর বাসা থেকে বের হয়ে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় পর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত পৌনে ১২টায় ভিআইপি টারমাক থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার এম্বুলেন্স যাত্রা করে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে উড়াল দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। 

খালেদা জিয়ার বিদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকেই তার বাসভবন ও আশপাশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের পাশে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
ওদিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফিরোজা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের সেøাগানে গুলশান এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা টিম ‘সিএসএফ-চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স’ খালেদা জিয়াকে বহন করা পাজেরো গাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ডিঙিয়ে এগোতে থাকে।  প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে সড়কের দুই পাশে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। যদিও বিএনপি’র পক্ষ থেকে সড়কের দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম হওয়ায় পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিমানবন্দরের পুরো এলাকা জুড়ে অবস্থান নেন। গাড়ি বহরকে এস্কট দিয়ে তারা সামনে এগিয়ে নিয়ে যান।

এদিকে ফিরোজায় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, প্রয়াত ভাই সাঈদ ইস্কান্দারের সহধর্মিনী নাসরিন ইস্কান্দারসহ আত্মীয়-স্বজনরা তাকে বিদায় জানান। সন্ধ্যায় ফিরোজায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা জানান। গুলশান থেকে খালেদা জিয়া রওনা হওয়ার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডাম বাসা থেকে রওনা হয়েছেন। তিনি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসীসহ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

পথে পথে নেতাকর্মীদের ঢল: 
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রায় বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে ঢল নামে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের। রাত সোয়া আটটায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে বের হয় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী ও দলীয় নেতাকর্মীদের পাহারায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বনানী হয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন স্লোগান দেন। নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে বিমানবন্দরে পৌঁছায় গাড়িবহর। রাত  পৌনে ১২টায় কাতারের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে এয়ার এম্বুলেন্স। কাতারের দোহায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে এটি আবার লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। বুধবার সকালে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার এম্বুলেন্স লন্ডনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
পথে পথে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদায় দিতে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ সারিবেঁধে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। রাত সোয়া ৮টায় গুলশানের বাসা থেকে সাদা রঙয়ের একটি গাড়িতে রওনা দেন তিনি। গাড়িতে তার পাশে ছিলেন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। তাকে নিয়ে বাসার সামনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে ধীরে ধীরে যাত্রা শুরু করে গাড়ি বহর। গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কজুড়ে ঢল নামে নেতাকর্মীদের। বিমানবন্দর সড়কে দুই কিলোমিটারের মত এলাকাজুড়ে নেতাকর্মীরা ফুটপাতে অবস্থান নেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের নেত্রীকে বিদায় জানান। তাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে আশপাশের পুরো এলাকা। এসময় তারা “খালেদা, জিয়া, জিয়া, খালেদা”, “তারেক, রহমান, রহমান, তারেক”,সহ বিভিন্ন স্লোগানে যাত্রা পথ মুখরিত করে তুলেন। গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসার সামনের সড়ক থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ, গুলশান-২, বনানী থেকে বিমানবন্দর সড়ক দু’পাশে নেতাকর্মীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ পরে তাদের নানা স্লোগানে সড়ক ছিল সরব।

ওদিকে ফিরোজায় সামনে সহস্রাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল সন্ধ্যা থেকে। এদিন সকাল থেকে বাসা ও আশপাশের সড়কে ভিড় লেগে ছিল। সময় গড়ানোর সঙ্গে নেতাকর্মীদের পদচারণা বাড়তে থাকে। বিএনপিসহ দলের অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে দেখতে ভিড় করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়ি ৮নং গেট দিয়ে সরাসরি ভিআইপি টারমার্কে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সামনে পৌঁছে। সেখানে বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সের সামনে দাঁড়িয়ে দলীয় প্রধানকে বিদায় জানান।

বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে ৬ বছর তাকে আটক করে রাখা হয়েছিল। এই আটক করে রাখার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে আমরা বারবার ফ্যাসিস্ট সরকারের হাসিনাকে (শেখ হাসিনা) আমরা অনুরোধ করেছিলাম চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হোক। কিন্তু এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোন কথাতেই কর্ণপাত করেননি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে হাসিনা ফ্যাসিস্টরা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন, সমস্ত মিথ্যা মামলা থেকে তিনি মুক্ত হয়েছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন। এটা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা আশা করছি, তিনি সুচিকিৎসা করে আবার দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসবেন। যাওয়ার সময় তিনি আবারও বলেছেন, আপনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সকলকে বলবেন- দেশবাসী যেনো আমার জন্য দোয়া করেন। আমিও আল্লাহতালার কাছে এই দোয়া চাইছি, আল্লাহতালা যেনো এই দেশ এবং এই দেশবাসীকে ভালো রাখেন, তাদের কল্যাণ করেন। রাজনৈতিক কোন বার্তা দিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে যেনো প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সফরসঙ্গী যারা: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যেতে কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্স’ গত সোমবার রাতে ঢাকায় পৌঁছায়। বিমানবন্দরের ভিআইপি টারমাকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এয়ার এম্বুলেন্সটি রাখা হয়। এই বিশেষ উড়োজাহাজে ৪ জন চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্স রয়েছেন। বিমানটিতে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধার যন্ত্রপাতি ও ল্যাবরেটরিও হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তার মেডিকেল বোর্ডের ৬ জন সদস্যও রয়েছেন। তারা হলেনÑ মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পাঁচ মাস পর চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। প্রাথমিক পরিকল্পনায় তার লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা বলা হলেও এখন লন্ডনের হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসা নেবেন। তবে লন্ডন ক্লিনিক সুপারিশ করলে সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নেয়ার কথা রয়েছে। সবশেষ ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেবার চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বার বার তাকে বিদেশ নেয়ার পরামর্শ দিলেও তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তিন জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

খালেদার লন্ডনযাত্রা,পথে পথে জনস্রোত

আপডেট সময় ১০:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের পথে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাতে কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কাতারে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি দিয়ে তিনি লন্ডন পৌঁছাবেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি যাবেন লন্ডন ক্লিনিকে। ওই হাসপাতালেই তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সফরে দীর্ঘ সাত বছর পর ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বিএনপি চেয়ারপারসনের। ওদিকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রায় তাকে আবেগঘন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রাত আটটার পর খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পুরো সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে আবেগঘন শুভেচ্ছা জানান। তারা খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন সেøøাগান দেন। হাজারো নেতাকর্মীর ভিড়ে পুরো সড়ক লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। ভিড়ের কারণে গাড়ি বহর ধীর গতিতে বিমানবন্দরের দিকে এগোতে থাকে। রাত ১০টায় খালেদা জিয়ার এয়ার এম্বুলেন্স উড্ডয়ন করার কথা থাকলেও গাড়ি বহর বাসা থেকে বের হয়ে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় পর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত পৌনে ১২টায় ভিআইপি টারমাক থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার এম্বুলেন্স যাত্রা করে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে উড়াল দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। 

খালেদা জিয়ার বিদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকেই তার বাসভবন ও আশপাশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের পাশে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
ওদিকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফিরোজা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের সেøাগানে গুলশান এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা টিম ‘সিএসএফ-চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স’ খালেদা জিয়াকে বহন করা পাজেরো গাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ডিঙিয়ে এগোতে থাকে।  প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে সড়কের দুই পাশে তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। যদিও বিএনপি’র পক্ষ থেকে সড়কের দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম হওয়ায় পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিমানবন্দরের পুরো এলাকা জুড়ে অবস্থান নেন। গাড়ি বহরকে এস্কট দিয়ে তারা সামনে এগিয়ে নিয়ে যান।

এদিকে ফিরোজায় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, প্রয়াত ভাই সাঈদ ইস্কান্দারের সহধর্মিনী নাসরিন ইস্কান্দারসহ আত্মীয়-স্বজনরা তাকে বিদায় জানান। সন্ধ্যায় ফিরোজায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা জানান। গুলশান থেকে খালেদা জিয়া রওনা হওয়ার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডাম বাসা থেকে রওনা হয়েছেন। তিনি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসীসহ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

পথে পথে নেতাকর্মীদের ঢল: 
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রায় বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে ঢল নামে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের। রাত সোয়া আটটায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে বের হয় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী ও দলীয় নেতাকর্মীদের পাহারায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বনানী হয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন স্লোগান দেন। নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে বিমানবন্দরে পৌঁছায় গাড়িবহর। রাত  পৌনে ১২টায় কাতারের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে এয়ার এম্বুলেন্স। কাতারের দোহায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে এটি আবার লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। বুধবার সকালে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার এম্বুলেন্স লন্ডনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
পথে পথে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদায় দিতে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ সারিবেঁধে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। রাত সোয়া ৮টায় গুলশানের বাসা থেকে সাদা রঙয়ের একটি গাড়িতে রওনা দেন তিনি। গাড়িতে তার পাশে ছিলেন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। তাকে নিয়ে বাসার সামনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে ধীরে ধীরে যাত্রা শুরু করে গাড়ি বহর। গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কজুড়ে ঢল নামে নেতাকর্মীদের। বিমানবন্দর সড়কে দুই কিলোমিটারের মত এলাকাজুড়ে নেতাকর্মীরা ফুটপাতে অবস্থান নেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের নেত্রীকে বিদায় জানান। তাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে আশপাশের পুরো এলাকা। এসময় তারা “খালেদা, জিয়া, জিয়া, খালেদা”, “তারেক, রহমান, রহমান, তারেক”,সহ বিভিন্ন স্লোগানে যাত্রা পথ মুখরিত করে তুলেন। গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসার সামনের সড়ক থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ, গুলশান-২, বনানী থেকে বিমানবন্দর সড়ক দু’পাশে নেতাকর্মীদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ পরে তাদের নানা স্লোগানে সড়ক ছিল সরব।

ওদিকে ফিরোজায় সামনে সহস্রাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল সন্ধ্যা থেকে। এদিন সকাল থেকে বাসা ও আশপাশের সড়কে ভিড় লেগে ছিল। সময় গড়ানোর সঙ্গে নেতাকর্মীদের পদচারণা বাড়তে থাকে। বিএনপিসহ দলের অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে দেখতে ভিড় করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়ি ৮নং গেট দিয়ে সরাসরি ভিআইপি টারমার্কে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সামনে পৌঁছে। সেখানে বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সের সামনে দাঁড়িয়ে দলীয় প্রধানকে বিদায় জানান।

বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে ৬ বছর তাকে আটক করে রাখা হয়েছিল। এই আটক করে রাখার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে আমরা বারবার ফ্যাসিস্ট সরকারের হাসিনাকে (শেখ হাসিনা) আমরা অনুরোধ করেছিলাম চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হোক। কিন্তু এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোন কথাতেই কর্ণপাত করেননি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে হাসিনা ফ্যাসিস্টরা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন, সমস্ত মিথ্যা মামলা থেকে তিনি মুক্ত হয়েছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন। এটা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা আশা করছি, তিনি সুচিকিৎসা করে আবার দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসবেন। যাওয়ার সময় তিনি আবারও বলেছেন, আপনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সকলকে বলবেন- দেশবাসী যেনো আমার জন্য দোয়া করেন। আমিও আল্লাহতালার কাছে এই দোয়া চাইছি, আল্লাহতালা যেনো এই দেশ এবং এই দেশবাসীকে ভালো রাখেন, তাদের কল্যাণ করেন। রাজনৈতিক কোন বার্তা দিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে যেনো প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সফরসঙ্গী যারা: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যেতে কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্স’ গত সোমবার রাতে ঢাকায় পৌঁছায়। বিমানবন্দরের ভিআইপি টারমাকে কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এয়ার এম্বুলেন্সটি রাখা হয়। এই বিশেষ উড়োজাহাজে ৪ জন চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্স রয়েছেন। বিমানটিতে সর্বাধুনিক চিকিৎসা সুবিধার যন্ত্রপাতি ও ল্যাবরেটরিও হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তার মেডিকেল বোর্ডের ৬ জন সদস্যও রয়েছেন। তারা হলেনÑ মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পাঁচ মাস পর চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। প্রাথমিক পরিকল্পনায় তার লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা বলা হলেও এখন লন্ডনের হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসা নেবেন। তবে লন্ডন ক্লিনিক সুপারিশ করলে সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নেয়ার কথা রয়েছে। সবশেষ ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেবার চোখ ও পায়ের চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বার বার তাকে বিদেশ নেয়ার পরামর্শ দিলেও তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।