প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ সালের শেষে কিংবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি। এখনো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে পরে- এমন বার্তা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপির সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
এরই মধ্যে নির্বাচনি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। ভোটারের আস্থা অর্জনে জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন তারা।
দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।গত সোমবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত জানাতেই মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার যে বক্তব্য ছিল, এই বছরের শেষের দিকে অথবা পরবর্তী বছরের অর্থাৎ ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে … এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে গতকাল দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে।
আমরা মনে করি, এত বিলম্বিত করার কোনো কারণ নেই।’
নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে উল্লেখ করে গভর্ন্যান্সের মধ্যে মোটামুটি একটা স্থিতিশীলতা এসেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার সংক্রান্ত যে কমিটি এটার রিপোর্ট এসে যাবে কালকে। সুতরাং আমার মনে হয় না যে এটা আরো বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন আছে।
কারণ যত বিলম্ব হচ্ছে, তত রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকট আরো বৃদ্ধি পাবে। বারবার করে বলছি আসলে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই।’নির্বাচন গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে এ বছরের জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই অগাস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। এ কারণে আমরা সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেন আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।
’ এ সময় জাতি একটা ক্রান্তিকালে অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘এখন সময়টা খুবই সেনসিটিভ সময়। খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়, জাতি এখন একটা অত্যন্ত ক্রান্তিকালে অবস্থান করছে। এর থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পথটা এই পথটাকে কোনোভাবেই যেন আমরা খুব বেশি বাধাগ্রস্ত না করি, সেই আহ্বানটা আমাদের সকলের প্রতি থাকবে।’