ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামছে চিটাগং- খুলনা

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের এই ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মাঠে নামার আগে দুটি দলই নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করেছে প্রতিপক্ষকে আটকাতে।

প্রতিপক্ষ দল খুলনাও পিছিয়ে নেই। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই মেহেদী হাসান মিরাজের দল নকআউট ম্যাচ হিসেবে খেলে আসছে। তাদের সমীকরণটাই ছিল তেমন, কোনো ম্যাচে হারলেই বাদ পড়তে হবে। আজই তেমনই সমীকরণ, জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত হবে আর হারলে বাদ পড়তে হবে।

নতুন কোনো বিদেশি ক্রিকেটার দলে যোগ দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে মিঠুন বলেছেন, ‘না, এখনো পর্যন্ত এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা ঐটাতে বিশ্বাসী না যে, রাতারাতি একজন খেলোয়াড়কে আনলাম আর ডেলিভার করল। দলের সঙ্গে, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। আর আমাদের দলের বিদেশিরা খারাপ করেনি, ভালোই করেছে তারা। সুতরাং তাদের ওপর আমরা বিশ্বাস রাখতেই পারি। হায়দার আলীর ইনজুরি আমাদের কিছুটা ভোগাবে। তবু টি-টোয়েন্টি একটা দিনের খেলা, এই দিনে যে ভালো করবে সেই এগিয়ে থাকবে।’

এদিকে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার আগে গুঞ্জন উঠেছিল, টাকা না পেলে মাঠে নামবে না চিটাগং। সেই বিষয়ে মিঠুন বলেছেন, ‘এই ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমি টিম হোটেলেই আছি। এই ধরনের কোনো কথা শুনিনি কোনো খেলোয়াড়ের কাছে যে, টাকার জন্য খেলতে যাচ্ছে না।’ একাদশ বিপিএলে অবশ্য বিষয়টি নতুন নয়। টাকা না পেয়ে রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা মাঠে আসেননি। এমনকি পুরো দলই অনুশীলন বয়কটের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছিল।

এদিকে চিটাগংয়ের মালিকপক্ষ নিয়ে মিঠুন বলেছেন, ‘আমি বলব না, আমাদের সবকিছু ভালোভাবে চলছে। একটা মানুষ যখন ১২-১৩ বছর কিংবা ১৫ বছর পর আসে একটা সংগ্রামী জীবন শেষে, তাকে কিছুটা ছাড় দেওয়া উচিত। তিনি মানুষ হিসেবে অসাধারণ। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আন্তরিকভাবে মেশেন। টুকিটাকি ভুল সবারই থাকে, সব ফ্রাঞ্চাইজিরই আছে। কোনো কিছুকে বড় করে হাইলাইটস করার কিছু নেই। আমরা সমস্যার ঊর্ধ্বে কেউই না। সমস্যা থাকলে সেটার সমাধানও আছে।’

এদিকে টালমাটাল পরিস্থিতিতেও শান্তভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে চিটাগং। দলটির দেশি খেলোয়াড়দের ওপর বেশি ভরসা রাখছেন মিঠুন। বিশেষ করে শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। মিঠুন বলেন, ‘বাংলাদেশিদের মধ্যে শামীম আলাদা। সাধারণত বাংলাদেশিরা যেভাবে ব্যাটিং করে, সেটি থেকে শামীমের ব্যাটিং ব্যতিক্রম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ধরনের শট দেখতে মজা লাগে। আমি নিজেই শামীমের একজন বড় ভক্ত। সে ফিল্ডিংয়েও অসাধারণ। আশা করব সে এভাবেই জ্বলে উঠবে।’

খুলনাও দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে মূল পরিকল্পনা সাজিয়েছে। গতকাল খুলনার ব্যাটিং কোচ নাসিরউদ্দিন ফারুক সজিব বলেছেন, ‘যারা আসর জুড়ে পারফরম করে এসেছে, তাদের ওপরই ভরসা রাখা হচ্ছে। আর বিদেশিরা থাকবে বোনাস হিসেবে। মূল কাজটি করতে হবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের, বিদেশিরা সেখানে এগিয়ে এলে কাজটি সহজ হবে।’ এদিকে খুলনা আগে থেকেই নকআউট ম্যাচের মধ্যে আছে বলে মিরাজদের ব্যাটিং কোচও মনে করিয়ে দিয়েছেন। যে প্রক্রিয়ায় তারা এগিয়ে চলেছেন, তারই ধারাবাহিকতা আজকের ম্যাচে দেখাতে চায় খুলনা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামছে চিটাগং- খুলনা

আপডেট সময় ১১:২৫:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের এই ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মাঠে নামার আগে দুটি দলই নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করেছে প্রতিপক্ষকে আটকাতে।

প্রতিপক্ষ দল খুলনাও পিছিয়ে নেই। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই মেহেদী হাসান মিরাজের দল নকআউট ম্যাচ হিসেবে খেলে আসছে। তাদের সমীকরণটাই ছিল তেমন, কোনো ম্যাচে হারলেই বাদ পড়তে হবে। আজই তেমনই সমীকরণ, জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত হবে আর হারলে বাদ পড়তে হবে।

নতুন কোনো বিদেশি ক্রিকেটার দলে যোগ দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে মিঠুন বলেছেন, ‘না, এখনো পর্যন্ত এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা ঐটাতে বিশ্বাসী না যে, রাতারাতি একজন খেলোয়াড়কে আনলাম আর ডেলিভার করল। দলের সঙ্গে, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। আর আমাদের দলের বিদেশিরা খারাপ করেনি, ভালোই করেছে তারা। সুতরাং তাদের ওপর আমরা বিশ্বাস রাখতেই পারি। হায়দার আলীর ইনজুরি আমাদের কিছুটা ভোগাবে। তবু টি-টোয়েন্টি একটা দিনের খেলা, এই দিনে যে ভালো করবে সেই এগিয়ে থাকবে।’

এদিকে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার আগে গুঞ্জন উঠেছিল, টাকা না পেলে মাঠে নামবে না চিটাগং। সেই বিষয়ে মিঠুন বলেছেন, ‘এই ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমি টিম হোটেলেই আছি। এই ধরনের কোনো কথা শুনিনি কোনো খেলোয়াড়ের কাছে যে, টাকার জন্য খেলতে যাচ্ছে না।’ একাদশ বিপিএলে অবশ্য বিষয়টি নতুন নয়। টাকা না পেয়ে রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা মাঠে আসেননি। এমনকি পুরো দলই অনুশীলন বয়কটের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছিল।

এদিকে চিটাগংয়ের মালিকপক্ষ নিয়ে মিঠুন বলেছেন, ‘আমি বলব না, আমাদের সবকিছু ভালোভাবে চলছে। একটা মানুষ যখন ১২-১৩ বছর কিংবা ১৫ বছর পর আসে একটা সংগ্রামী জীবন শেষে, তাকে কিছুটা ছাড় দেওয়া উচিত। তিনি মানুষ হিসেবে অসাধারণ। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আন্তরিকভাবে মেশেন। টুকিটাকি ভুল সবারই থাকে, সব ফ্রাঞ্চাইজিরই আছে। কোনো কিছুকে বড় করে হাইলাইটস করার কিছু নেই। আমরা সমস্যার ঊর্ধ্বে কেউই না। সমস্যা থাকলে সেটার সমাধানও আছে।’

এদিকে টালমাটাল পরিস্থিতিতেও শান্তভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে চিটাগং। দলটির দেশি খেলোয়াড়দের ওপর বেশি ভরসা রাখছেন মিঠুন। বিশেষ করে শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। মিঠুন বলেন, ‘বাংলাদেশিদের মধ্যে শামীম আলাদা। সাধারণত বাংলাদেশিরা যেভাবে ব্যাটিং করে, সেটি থেকে শামীমের ব্যাটিং ব্যতিক্রম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ধরনের শট দেখতে মজা লাগে। আমি নিজেই শামীমের একজন বড় ভক্ত। সে ফিল্ডিংয়েও অসাধারণ। আশা করব সে এভাবেই জ্বলে উঠবে।’

খুলনাও দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে মূল পরিকল্পনা সাজিয়েছে। গতকাল খুলনার ব্যাটিং কোচ নাসিরউদ্দিন ফারুক সজিব বলেছেন, ‘যারা আসর জুড়ে পারফরম করে এসেছে, তাদের ওপরই ভরসা রাখা হচ্ছে। আর বিদেশিরা থাকবে বোনাস হিসেবে। মূল কাজটি করতে হবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের, বিদেশিরা সেখানে এগিয়ে এলে কাজটি সহজ হবে।’ এদিকে খুলনা আগে থেকেই নকআউট ম্যাচের মধ্যে আছে বলে মিরাজদের ব্যাটিং কোচও মনে করিয়ে দিয়েছেন। যে প্রক্রিয়ায় তারা এগিয়ে চলেছেন, তারই ধারাবাহিকতা আজকের ম্যাচে দেখাতে চায় খুলনা।