ময়মনসিংহ , বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আওয়ামী আমলে নাগরিক অধিকার পুরোপুরি দমন করা হয়েছিল বললেন তারেক রহমান

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন,২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে  আওয়ামী শাসনামলে বাংলাদেশে নাগরিক অধিকার পুরোপুরি দমন করা হয়েছিল,  সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল নানা আইনি শৃঙ্খলে বন্দি।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারেক রহমান দাবি করেন, দেশে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, তখন বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে রূপ নেয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার কিংবা গণতান্ত্রিক চর্চা- সবই ছিল নিয়ন্ত্রিত। বিবৃতিটি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষর করে গণমাধ্যমে পাঠান।

তারেক রহমান বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন উপনিবেশ স্বাধীনতা পেলেও বিশ্বজুড়ে হিংসা-সংঘাত থামেনি। বরং রক্তপাত আর হানাহানি বহু দেশে মানুষের জীবনকে করে তুলেছে বিপন্ন। স্বৈরশাসকরা বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে, অনেক জায়গায় নাগরিকদের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে।

তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, একনায়কদের দমননীতিতে বিরোধী মতাবলম্বীরা বছরের পর বছর গুম, খুন ও মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি থেকেছেন। তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১৬ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছিল।’

আড়াইহাজারে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানআড়াইহাজারে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান
তিনি অভিযোগ করেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পেছনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের ভূমিকা ছিল, যার ফলে নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাপন হয়ে পড়েছিল দুর্বিষহ।

তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রই মানুষের অধিকার রক্ষার একমাত্র ভিত্তি। কিন্তু আজও এই সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তি দৃঢ়ভাবে গড়ে ওঠেনি। এখন ‘মবজাস্টিস’ নামের এক ভয়ংকর হিংসা মানবতার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।’

তারেক রহমান মনে করেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা না করা হলে আবারও একমাত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ফিরে আসতে পারে। তাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবতা, আইনের শাসন এবং অবাধ নির্বাচনের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তিনি গণতন্ত্রকামী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বিবৃতির শেষদিকে তারেক রহমান আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নির্যাতিত মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই, তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে যেন আর কোনো বাধা না থাকে। মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারী শক্তিকে প্রতিরোধ করতে বিশ্ববাসীকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আওয়ামী আমলে নাগরিক অধিকার পুরোপুরি দমন করা হয়েছিল বললেন তারেক রহমান

আপডেট সময় ০৩:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন,২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে  আওয়ামী শাসনামলে বাংলাদেশে নাগরিক অধিকার পুরোপুরি দমন করা হয়েছিল,  সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল নানা আইনি শৃঙ্খলে বন্দি।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারেক রহমান দাবি করেন, দেশে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, তখন বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে রূপ নেয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার কিংবা গণতান্ত্রিক চর্চা- সবই ছিল নিয়ন্ত্রিত। বিবৃতিটি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষর করে গণমাধ্যমে পাঠান।

তারেক রহমান বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন উপনিবেশ স্বাধীনতা পেলেও বিশ্বজুড়ে হিংসা-সংঘাত থামেনি। বরং রক্তপাত আর হানাহানি বহু দেশে মানুষের জীবনকে করে তুলেছে বিপন্ন। স্বৈরশাসকরা বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে, অনেক জায়গায় নাগরিকদের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে।

তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, একনায়কদের দমননীতিতে বিরোধী মতাবলম্বীরা বছরের পর বছর গুম, খুন ও মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি থেকেছেন। তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১৬ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছিল।’

আড়াইহাজারে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানআড়াইহাজারে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান
তিনি অভিযোগ করেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পেছনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের ভূমিকা ছিল, যার ফলে নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষের জীবনযাপন হয়ে পড়েছিল দুর্বিষহ।

তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রই মানুষের অধিকার রক্ষার একমাত্র ভিত্তি। কিন্তু আজও এই সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তি দৃঢ়ভাবে গড়ে ওঠেনি। এখন ‘মবজাস্টিস’ নামের এক ভয়ংকর হিংসা মানবতার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।’

তারেক রহমান মনে করেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা না করা হলে আবারও একমাত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ফিরে আসতে পারে। তাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবতা, আইনের শাসন এবং অবাধ নির্বাচনের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তিনি গণতন্ত্রকামী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বিবৃতির শেষদিকে তারেক রহমান আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নির্যাতিত মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই, তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে যেন আর কোনো বাধা না থাকে। মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারী শক্তিকে প্রতিরোধ করতে বিশ্ববাসীকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।’