বাংলাদেশের জয়ের হাতছানি। ওয়েস্ট ইন্ডজিজের কাছে যদি জয় পায় তবে ১৯ মাস পর বাংলাদেশের ট্রফি ক্যাবিনেটে যুক্ত হবে নতুন এক ওয়ানডে সিরিজ ট্রফি। তবে ট্রফি হাতছাড়া হলে ২০১১ সালের পর প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হার। তাই মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি যেন সাধারণ ম্যাচ নয়। এ যেন মর্যাদা ও মান রক্ষার লড়াই।
প্রায় আড়াই বছর পর ঢাকায় ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে এই সিরিজ দিয়েই। তিন ম্যাচের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত বিষয়—স্পিনারদের আধিপত্য। আগের ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ৯২ ওভার বল করেছেন স্পিনাররা। ধীরগতির ম্যাচটা শুরুতে কিছুটা একঘেয়ে মনে হলেও শেষের সুপার ওভার নাটকীয়তা এনে দিয়েছে জমজমাট রোমাঞ্চ। ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন হয়ে উঠেছে একেবারে ‘অলিখিত ফাইনাল’।
বাংলাদেশের সামনে এবার দুই প্রাপ্তির সুযোগ। একদিকে ঘরের মাঠে প্রায় দেড় দশক ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হারেনি টাইগাররা, অন্যদিকে ২০২৪ সালের মার্চের পর এটি হতে পারে তাদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয়। একইসঙ্গে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা হিসেবেও এ ম্যাচের ফল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে হিসাবের খাতায় আরেকটি দিকও আছে। চলতি দশকে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি হারের বিব্রতকর রেকর্ড এখন ক্যারিবিয়ানদের। গত পাঁচ বছরে ৪৩ ম্যাচে হার তাদের। বাংলাদেশও খুব পিছিয়ে নয়—৮১ ম্যাচে হেরেছে ৪১টিতে। পরাজয়ের হার যেখানে ৫০ দশমিক ৬১ শতাংশ, সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রায় ৫৬ শতাংশ। তাই আজকের হার-জয়, দুই দলকেই প্রভাবিত করবে সংখ্যার এই খাতায়।
মিরাজের নেতৃত্বে সিরিজটা হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু সুপার ওভারে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেছে। তবে সিরিজ জয় দিয়েই দুঃখ ভুলে যেতে চায় টাইগাররা। মিরপুরে আজ তাদের একটাই লক্ষ্য—ট্রফি হাতে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার।