তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে পঞ্চম দিনের মতো শুনানি চলছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৭ সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) একই বেঞ্চে চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। সেদিন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।
ওইদিন শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রশ্ন তোলেন—রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলে সেটি সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কিনা। পাশাপাশি, একই সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু হলে সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের সংজ্ঞায় পড়বে কি না—এ বিষয়ে রায়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন বলেও মত দেন রিটকারীদের আইনজীবীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বেঞ্চে শুরু হয় চূড়ান্ত শুনানি। সেদিন সকালে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। পরে বিএনপি, জামায়াত এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযোজন করা হয় ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট ওই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা দেয়।

ডিজিটাল রিপোর্ট 




















