বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা মালামালসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, উপজেলার খেকুয়ানি বাজারে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে নূর আলমের মুদি ও স্টেশনারি, শাহিনের মুদি ও মনোহরি, মো. ইমরানের অসিফা মেডিক্যাল হল, বেল্লালের চায়ের দোকান, হেলাল উদ্দিনের মুদি দোকান, আলাল উদ্দিনের সেলুন, পরিমলের সেলুন, রুস্তুমের চায়ের দোকান, মনিরুল ইসলামের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গোডাউন, মো. সোহাগ মৃধার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান এবং মনিরুল ইসলামের ৫টি খালি দোকনসহ মোট ১৬টি ঘর পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে নূর আলমের নগদ ১ লক্ষ, শাহিনের ৬৫ হাজার, অসিফা মেডিক্যাল হলের ৫ হাজার, পরিমলের সেলুনের ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে আমার ১টি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গোডাউনসহ ৫টি ঘর পুরে ছাই হওয়ায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার আর কিছুই রইল না।’
আমতলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সেপেক্টর মো. হানিফ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগ্নিকাণ্ডে ১৬টি ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারীভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।